আয়ারল্যান্ডকে থমকে দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ
স্কোর
আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারে ৮৫ (লরা ডিল্যানি ২৫, এমিয়ের রিচার্ডসন ২৫; ফাহিমা ৩/১৮)
বাংলাদেশ ১৮.৩ ওভারে ৮৬/৬ ( সানজিদা ৩২*, রিতু ১৫; প্রেনডারগাস্ট ২/১৮)
বাংলাদেশ চার উইকেটে জয়ী
লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেটাকেই অনেক বেশি মনে হচ্ছিল একটা সময়। শেষ পর্যন্ত সানজিদা ইসলামের দারুণ ব্যাটিংয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে চার উইকেটে হারালো বাংলাদেশ নারী দল। এই জয়ে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হলো তাদের।
৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখে শুনেই করেছিলেন মুরশিদা খাতুন ও আয়েশা রহমান। ২১ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে গারথের বলে ১৩ রান করা মুরশিদা ফিরলে। এরপর ধস নামে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে। নয় রানের মাঝে পড়ে আরও তিন উইকেট।
পঞ্চম উইকেটে সানজিদা ও রিতু মনির জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। দুইজন যোগ করেন ৩৮ রান। ১৫ রান কর রিতু ফেরেন রান আউট হয়ে। রিতু ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে বাংলাদেশকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সানজিদা। সানজিদা অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নাহিদা আক্তারের বলে ৫ রান করা গ্যাবি লুইস ফারজানা হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের ওভারে আরেক ওপেনার ম্যারি ওয়ালড্রনকে বোল্ড করেন জাহানারা আলম। কিম গারথ ও ওরলা প্রেনডারগাস্টও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।
২৭ রানে ৪ উইকেট হারানো আইরিশদের লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন লরা ডিল্যানি ও এমিয়ের রিচার্ডসন। দুইজনই করেছেন ২৫ রান। দলীয় ৭৪ রানের মাথায় ফাহিমা খাতুনের বলে আউট হন এমিয়ের। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের লেজ। মাত্র ১১ রানেই শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে তারা। উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের পাঁচ বোলারের সবাই। ১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ফাহিমার।