দ্বিতীয়ার্ধে মনোযোগ হারিয়ে ইয়েমেনের কাছে হারল বাংলাদেশ অ-১৬
ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত ইয়েমেনকে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ধৈর্য্য হারা হয়ে মিনিট ব্যবধানে তিন গোল হজম করে ফেলে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিনশিপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।
তিন গোল হজম করেছেন, হেরেছেন এরপরও উজ্জ্বল ছিলেন গোলরক্ষক মেহেদি হাসান। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে হেশাম আহমেদের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক। এর আগে কাতারের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ম্যাচের পর শক্তিশালী ইয়েমনকেও ৬৪ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখায় বড় কৃতিত্ব ছিল তার।
প্রথমার্ধে অবশ্য বাংলাদেশ বেঁচে গিয়েছিল গোলপোস্টের কারণে। সেভাবে আর আক্রমণে ওঠা হয়নি, সাইফুল ইসলাম সাইদ একটি শট করেছিলেন। সেটা ইয়েমেন ডিফেন্ডার হেড করে ওপরে উঠিয়ে দিয়ে আর গোলে পরিণত হতে দেননি।
আঁটসাঁট রক্ষণের ইয়েমেনকে ভালোভাবেই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান আরও একবার নিশ্চিত গোল সেভ করেন। কিন্তু ৬৪ মিনিটে একটি থ্রু পাস ধরে মোহাম্মদ আলি হাসান ঢুকে পড়েন ডিবক্সের ভেতর। এরপর কোনাকুনি ফিনিশে গোল করে বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙেন তিনি। কিছুক্ষণ পর কর্নার থেকে হেডে গোল করেন হামজা আহমেদ। ইয়েমের তৃতীয় গোলটি তার করা।
দোহার আস্পায়ার ডর্মে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের যাত্রা থামল তাই এই ম্যাচ দিয়েই। প্রথম ম্যাচে কাতারকেও প্রথমার্ধে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। পরে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে পাওয়া তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকল বাংলাদেশ। এই ভুটানকেই ইয়েমেন উড়িয়ে দিয়েছিল ১০-১ ব্যবধানে। আর কাতারের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। এ গ্রুপ থেকে কাতার ও ইয়েমেন খেলবে আগামী বছর বাহরাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে।