• শেখ কামাল ক্লাব কাপ
  • " />

     

    ঘরের মাঠে দারুণ শুরু চট্টগ্রাম আবাহনীর

    ঘরের মাঠে দারুণ শুরু চট্টগ্রাম আবাহনীর    

    গত দুইবারের দুই চ্যাম্পিয়ন, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই তাই উত্তাপ ছিল। অবশ্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে খেলল আসলে একদল, বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হয়ে থাকল ছায়া। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে গ্রুপ 'এ' -এর ম্যাচে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।  

    প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিড পেয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। ৮ মিনিটে আরিফুল ইসলামের বক্সের ভেতর থেকে দেওয়া কাটব্যাক গোল থেকে ১০ গজ দূরে খুঁজে পেয়েছিল চিনেদুম্যাথুকে। ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ঘরের দলকে দারুণ শুরু এনে দেন তিনি। 

    টিসি স্পোর্টসের রক্ষণ, গোলকিপিং- দুটোই পুরো ম্যাচেই ছিল নড়বড়ে। সেই ভুলের সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী।  প্রথম গোলের দুই মিনিট পর বাম দিক থেকে ইয়াসিন আরাফাত ক্রস করতে গিয়েই গোল পেয়ে যান। দূরের পোস্ট বরাবর ক্রস করতে চেয়েছিলেন, সেটাই গোলে পরিণত হয়ে গেলে আবার এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।   

    প্রথমার্ধটা অবশ্য একেবারেই অবসরে কাটানো হয়নি আবাহনী গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহালকে। মোহাম্মদ সামিরের ২০ গজ দূর থেকে করা শট হার মানিয়েছিল নেহালকে, কিন্তু বারপোস্ট বাঁধা পেরুতে পারেনি। তাই ম্যাচেও আর ফেরা হয়নি টিসি স্পোর্টসের। এরপর নেহাল অবশ্য ভালো একটি সেভ করেও আটকে রাখেন মালদ্বীপের ক্লাবকে। 

    আরিফুল আর চিনেদুম্যাথুর জুটি আবার দলকে গোল পাইয়ে দেন প্রথমার্ধ শেষের বেশ আগেই। আরিফুলের ক্রস গোলরক্ষক ধরতে ভুল করলে চিনেদুম্যাথু পেয়ে যান বল, এরপর নিখুঁত ফিনিশে নিজের দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যান নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার।  

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মারুফুল হকের দলের আক্রমণে ধার কমে আসে কিছুটা। ধারে সাইফ স্পোর্টিং থেকে খেলতে আসা জামাল ভুঁইয়া এদিন প্রভাব সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে বাম প্রান্ত দিয়ে আরিফুল ছিল ছিলেন দুর্দান্ত। স্ট্রাইকার রক্তোভিচ লুকাও বারবার হতাশ হচ্ছিলেন গোলের সামনে গিয়ে।

    ৭২ মিনিটে গিয়ে কপাল খোলে মন্টেনেগ্রোর স্ট্রাইকারের। টিসির গোলরক্ষক ইব্রাহিম আদম ক্রস লুফে নিতে ভুল করেছিলেন। তাঁর হাত ফস্কে বল চলে যায় গোলের সামনে থাকা লুকার কাছে। সহজ ট্যাপ ইনে চট্টগ্রাম আবাহনীর চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। সব ভালোর দিনে শেষটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের আবাহনীর। ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে গোল খেয়ে বসে ক্লিনশিটটা আর ধরে রাখা হয়নি তাদের। 

    আগামীকাল ২০ সেপ্টেম্বর গ্রুপের অন্য ম্যাচে খেলবে ভারতের মোহনবাগান ও লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস। দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল উঠবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।