• শেখ কামাল ক্লাব কাপ
  • " />

     

    চট্টগ্রাম আবাহনীকে নাটকীয় জয় এনে দিলেন জামাল

    চট্টগ্রাম আবাহনীকে নাটকীয় জয় এনে দিলেন জামাল    

    ৬ গোলের নাটকীয় ম্যাচ দেখল চট্টগ্রাম। শেখ কামাল ক্লাব কাপে সেই নাটকের জয়ী দল চট্টগ্রাম আবাহনী। লাওসের ক্লাব ইয়াং এলিফ্যান্টের বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়া-পিছিয়ে যাওয়ার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেক দূর এগিয়েও গেল মারুফুল হকের দল। চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান জামাল ভুঁইয়ার। এক গোল আর দুই অ্যাসিস্টে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়ের নায়ক তিনি।   

    এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দারুণ শুরু করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে অন্তত দুইবার গোল পেতে পারত তারা। ৯ মিনিটে সেই আফসোস আবাহনী ভুলেছে চিনেদিম্যাথুর গোলে। বক্সের ভেতর ডান পায়ে বল রিসিভ করে বাম পায়ের টোকায় গোল করেন তিনি।

    কিন্তু এরপর চট্টগ্রাম আবাহনীকে চমকে দিয়ে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে বসে এলিফ্যান্টরা। ১৪ মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে গোল করে বসেন থানকান্তি। এরপর নিজেদের ভুলের মাশুল দিয়ে দ্বিতীয় গোলটিও হজম করে চট্টগ্রাম আবাহনী। ডিফেন্ডার ইকবল জন নিজের বক্সের ভেতর থেকে স্কয়ার পাস করেছিলেন রিয়াদুল রাফিকে। বিপদজনক পাস রিয়াদ বুঝে নেওয়ার আগেই ছিনিয়ে নিয়ে যান সোমশে। এরপর কাছের পোস্টে শট করে গোল পেয়ে যান তিনি।

    দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে থেকেই তাই মাঠে নামে চট্টগ্রাম আবাহনী। অবশ্য ম্যাচে সমতায় ফিরতে এরপর খুব বেশি সময় নেয়নি তারা। তাঁর পুরো অবদানই জামাল ভুঁইয়ার। প্রথমে তিনি গোল করান লুকা রতকোভিচকে দিয়ে। বামদিক থেকে জামাল ক্রস করেছিলেন, নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল পেয়ে যান মন্টেনেগ্রোর স্ট্রাইকার। 

    আগের ম্যাচেই মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়েছিল ইয়াং এলিফ্যান্ট। লাওসের ক্লাবটি তরুণ দল নিয়ে এলেও আবাহনীকে প্রায় আটকে ফেলেছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়িয়ে মারুফুল হকের দল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

    আগের ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন জামাল। সে ম্যাচে অবশ্য তেমন আহামরি কিছু খেলেননি। কিন্তু ইয়ং এলিফ্যান্টের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর থেকেই দলের হাল ধরেন তিনি।  দলের বেশিরভাগ আক্রমোণেই ছিল তার অবদান। ৭২ মিনিটে স্টেডিয়ামকে আনন্দে ভাসান জামাল গোল করে। কর্নার পেয়েছিল আবাহনী। ডানদিকের কর্নার নিতে অবশ্য তিনি যাননি। ছিলেন বক্সের বাইরে। বক্সের ভেতর জটলা থেকে বক্সের ঠিক মাথায়ই বল পেয়ে যান জামাল। বাম পায়ের শটে গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীকে আবারও এগিয়ে দেন অধিনায়ক। জামাল জাদু সেখানেও থামেনি, জামালের কর্নার থেকে আরও একবার গোল পেয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৭৯ মিনিটে চার্লস দিদিয়ের জামালের জর্নার থেকে হেডে করেন চতুর্থ গোলটি।

    শেষে অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনী গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল অবশ্য দুইটি ভালো সেভ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। দিনের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান জয় পেয়েছে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে। তাই গতবারের চ্যাম্পিয়নদের দুই ম্যাচ শেষেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে টুর্নামেন্ট থেকে। শেষ ম্যাচে ড্র করলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে চট্টগ্রাম আবাহনীর। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মোহন বাগান। ছয় পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী, মোহনবাগান ও ইয়াং এলিফ্যান্ট দুই ক্লাবেরই  পয়েন্ট তিন করে।