• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    ইউরোর টিকেট নিশ্চিত করল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া; মূলপর্বের দ্বারপ্রান্তে ওয়েলসও

    ইউরোর টিকেট নিশ্চিত করল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া; মূলপর্বের দ্বারপ্রান্তে ওয়েলসও    

    ফুল-টাইম

    জার্মানি ৪-০ বেলারুশ

    নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ০-০ নেদারল্যান্ডস

    ক্রোয়েশিয়া ৩-১ স্লোভাকিয়া

    আজারবাইজান ০-২ ওয়েলস

    রাশিয়াল ১-৪ বেলজিয়াম


    জিতলেই নিশ্চিত ইউরো ২০২০ মূলপর্বের টিকেট- এই সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিল জার্মানি এবং ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের সমর্থকদের সামনেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে দু’দল। ‘সি’ গ্রুপে বেলারুশকে জার্মানি হারিয়েছে ৪-০ গোলে, ‘ই’ গ্রুপে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার জয়টা ৩-১ গোলের। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সাথে ড্র করলেও হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে ২০১৪-এর পর কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের টিকেট নিশ্চিত করল নেদারল্যান্ডস। আজারবাইজানকে হারিয়ে গ্রুপপর্ব থেকে সরাসরি কোয়ালিফাই করার স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে ওয়েলস।

    বরুশিয়া পার্কে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি জার্মানদের। পজেশন, গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল বেলারুশই। কিন্তু জার্মানি গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে, প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। জার্মানির মত দলের মাঠে সুযোগ হাতছাড়া করার চড়া মাশুলই দিয়েছে বেলারুশ। প্রথমার্ধের শেষদিকে সার্জ গ্যানাব্রির ক্রস থেকে দলকে লিড এনে দেন মাথিয়াস গিন্টার। পিছিয়ে পড়ার পর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি বেলারুশের।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওন গোরেৎস্কা। মিনিট সাতেক পর গিন্টারের পাস থেকে ব্যবধান ৩-০ করেন ক্রুস। ম্যাচে ফেরার একটা সুযোগ অবশ্য বেলারুশকে উপহার দিয়েছিল জার্মানি। ফরোয়ার্ড পাভেল নেখাচিককে ডিবক্সে ফেলে দেন জার্মান ডিফেন্ডার রবিন কখ, পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। কিন্তু ১২ গজ থেকে স্টাসেভিচকে ফিরিয়ে দেন নয়্যার। ম্যাচের শেষদিকে দুর্দান্ত এক ফিনিশে বেলারুশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ক্রুস। 

     

     

    জার্মানির মত অবশ্য এত মসৃণ ছিল না ডাচদের মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত করা। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মাঠে শুরু থেকেই ধুঁকতে হয়েছে তাদের। ভাগ্য সহায় না হলে প্রথমার্ধের পিছিয়ে পড়ত ডাচরা, ২২ মিনিটে প্যাট্রিক ম্যাকনেয়ারের হেড প্রতিহত হয় ডাচদের বারপোস্টে। তবে প্রথমার্ধে সবচেয়ে সহজ সুযোগটা হাতছাড়া করেন আইরিশ মিডফিল্ডার স্টিভেন ডেভিস। জর্জ সাভিলের ভলি ডাচ ডিফেন্ডার জোয়েল ভেল্টম্যানের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি।

    কিন্তু ১২ গজ থেকে ডেভিসের শট চলে যায় গোলের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও নেদারল্যান্ডসকে চাপে রেখেছিল নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, কিন্তু গোলটা আর পাওয়া হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পয়েন্ট হারানোয় খুব একটা সমস্যা হয়নি ডাচদের, সরাসরি গ্রুপ থেকেই মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে তারা। জার্মানি-নেদারল্যান্ডসের সঙ্গী হতে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ভরসা তাই প্লে-অফই।

    ‘সি’ গ্রুপে নিজ সমর্থকদের সামনে ইউরো মূলপর্ব নিশ্চিত করার ম্যাচের প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। রবার্ট বোজেনিকের গোলে লিড নেয় স্লোভাকিয়া। সমতায় ফিরতে ৫৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে দালিচের দলকে, নিকোলা ভ্লাসিচের গোলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ক্রোয়াট সমর্থকেরা। সমতায় ফেরার কিছুক্ষণ পরই দলকে লিড এনে দেন ব্রুনো পেতকোভিচ। ম্যাচের মিনিট দশেক বাকি থাকতে ইভান পেরিসিচের দুর্দান্ত গোলে নিশ্চিত হয় ক্রোয়াটদের ইউরো যাত্রা।

     

     

    স্লোভাকিয়া হারের রাতে আজারবাইজানের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে ওয়েলস। প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন কিয়েফের মুর এবং হ্যারি উইলসন। ১০ মিনিটে উইলসনের ক্রসে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন মুর। প্রথমার্ধের শেষদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল জেমসের আগুনে শট ক্রসবারে প্রতিহত হলেও ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি উইলসন।

    ওয়েলস জিতলেও নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি গ্যারেথ বেল। পুরো ম্যাচে গোলে শট নিতে পারেননি একবারও, সতীর্থদের পাস বাড়িয়েছেন মাত্র ১১বার। বেলের নিষ্প্রভ থাকার দিনে নিজেদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রাখল রায়ান গিগসের দল। ২০ নভেম্বর নিজেদের মাঠে হাঙ্গেরিকে হারালেই সরাসরি মূলপর্ব নিশ্চিত করবে তারা।

    রাশিয়ার মাঠে ৪-১ গোলের জয়ে ‘আই’ গ্রুপে নিজেদের শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে বেলজিয়াম। এই ম্যাচের আগে টানা সাত ম্যাচ জিতেছিল রাশিয়ানরা, গোল হজম করেছিল মাত্র ১টি। কিন্তু নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধেই তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে স্তানিস্লাভ চেরচেশভের দল। বড়ভাই এডেন হ্যাজার্ডের পাস থেকে দলকে লিড এনে দেন থরগান হ্যাজার্ড। প্রথমার্ধে এরপর জোড়া গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। ৭২ মিনিটে রোমেলু লুকাকু করেন চতুর্থ গোল। ম্যাচের শেষদিকে রাশিয়ানদের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন গিওর্গি ঝিকিয়া।