সহজ জয় পেল ফ্রান্স, তুরস্ক; আইসল্যান্ডের ভরসা প্লে-অফ
ফুল-টাইম
আলবেনিয়া ০-২ ফ্রান্স
অ্যান্ডোরা ০-২ তুরস্ক
মলদোভা ১-২ আইসল্যান্ড
ইউরো ২০২০ মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ‘এইচ’ গ্রুপে আলবেনিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সের সুযোগ ছিল গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়েই মূলপর্বে যাওয়ার। সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে দিদিয়ের দেশমের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আলবেনিয়ানদের ২-০ গোলে হারিয়ে তুরস্ককে (২৩) টপকে শীর্ষে থেকেই বাছাইপর্ব শেষ করেছে ফ্রান্স।
গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হতে আলবেনিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না ফ্রান্সের। কিন্তু এমন ম্যাচে কিলিয়াম এম্বাপ্পে, নাবিল ফেকির, এন’গোলো কান্তেদের বেঞ্চে রেখেছিলেন দেশম। শুধু একাদশ নয়, দেশমের ফর্মেশনও ছিল বিচিত্র। পছন্দের ৪-২-৩-১ থেকে সরে ৩-৪-১-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন তিনি। আক্রমণাত্মক ফর্মেশন কাজে দিয়েছে ফ্রান্সের, ৮ মিনিটেই লিড নিয়েছে তারা। আঁতোয়া গ্রিযমানের ফ্রি-কিকে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন কোরেন্টিন তোলিসো। গোলের পর আলবেনিয়াকে আরও চেপে ধরে ফ্রান্স।
প্রথমার্ধের মিনিট দশেক বাকি থাকতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিযমান। ফুলব্যাক লিও দুবোয়ার ক্রসে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। আক্রমণে গ্রিযমানদের মত রক্ষণেও দুর্দান্ত ছিলেন ভারান-লংলেরা। পুরো ম্যাচে ফ্রেঞ্চ গোলে একবারও শটই নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স।
প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করলেও আলবেনিয়া গোলরক্ষক বেরিশা দ্বিতীয়ার্ধে ছিলেন দুর্দান্ত। অলিভিয়ের জিরুর অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সহজ জয়েই গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে গেল ফ্রান্স। ২০১৬-তে নিজেদের মাঠেই তীরে এসে তরী ডুবেছিল ফ্রান্সের, বিশ্বকাপের পর এবার দেশমের দলের চোখ থাকবে ইউরোর শিরপাতেই।
ফ্রান্সের মত অ্যান্ডোরার বিপক্ষে তুরস্কের জয়টাও ২-০ গোলের। আইসল্যান্ডের সাথে আগের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল তুরস্ক। তবে বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আবারও তুরস্ককে পথ দেখিয়েছেন স্ট্রাইকার এনেস উনাল। ১৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে গোল করার পর প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। তুরস্কের রক্ষণভাগ এই ম্যাচেও ছিল দারুণ ফর্মে, অ্যান্ডোরা একবারও গোলে শটই নিতে পারেনি। প্রায় ৮০ভাগ পজেশনও রেখেছিল তুরস্ক।
ফ্রান্স, তুরস্কের মত জয় পেয়েছে আইসল্যান্ডও। কিন্তু মলদোভার মাঠে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। বিয়ার্নেসনের গোলে প্রথমার্ধে আইসল্যান্ড লিড নিলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিকোলাইয়ের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। তবে মিনিট দশেক পরই আইসল্যান্ডের লিড পুনরুদ্ধার করেন গিলফি সিগুর্ডসন। শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পেনাল্টি মিস করে দলকে ঠেলে দিয়েছিলেন কিছুটা ব্যাকফুটে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাটি কামড়ে জয় নিয়েই ফিরেছে তারা। গ্রুপ থেকে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে না পারলেও প্লে-অফে সুযোগ থাকছে ২০১৬ ইউরোর রূপকথার দলটির। এই শুক্রবার, ২২ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের নিওনে ইউয়েফার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য ড্রয়ে পট ‘এ’-তে থাকবে আইসল্যান্ড।