• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    হ্যামিল্টনে ড্রয়ের দিনে ফ্লেমিংয়ের আরও কাছে টেলর

    হ্যামিল্টনে ড্রয়ের দিনে ফ্লেমিংয়ের আরও কাছে টেলর    

    নিউজিল্যান্ড ৩৭৫ ও ৭৫ ওভারে ২৪১/২

    ইংল্যান্ড ৪৭৬


    হ্যামিল্টনে ড্র ছাড়া অন্য কিছুর জন্য আজ বেশ বড়সড় নাটকের দরকার ছিল। সেরকম কিছু হয়নি, তার ওপর আবার বৃষ্টিও ঝামেলা করেছে। তবে অতটা বেরসিক বলা যায় না বৃষ্টিকে, কেন উইলিয়ামসন আর রস টেলরের সেঞ্চুরি পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে ! তার অনেক আগেই অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গেছে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১-০ ব্যবধানেই সিরিজ জিতছে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতিটা খারাপ হলো না কিউইদের! আর টেলরের জন্য ছিল মাইলফলক ছোঁয়ার দিন আজ, দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান হিসেবে পেরিয়ে গেছেন টেস্টে সাত হাজার রান।

    উইলিয়ামসন আর টেলর দুজনেই ত্রিশের ঘরে থেকে দিন শুরু করেছিলেন আজ। উইলিয়ামসন ফিফটি পেয়েছেন আগে, পরে তাঁকে অনুসরণ করেছেন টেলর। লাঞ্চ পর্যন্ত দুজন চলে গেছেন সেঞ্চুরির প্রায় কাছাকাছি, এর মধযে ৩৬ ওভারে যোগ করেছেন ১১৫ রান। তার পরেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। তবে এর মধ্যে বলার মতো ঘটনা ঘটেছে দুইটি। জফরা আর্চারের সিরিজটা ভালো যায়নি একদমই, আজ অন্যরকম কিছু চেষ্টা করেছিলেন। উইলিয়ামসনকে একটা নাকল বল দিয়েছিলেন, সেটা বুঝতে না পেরে মিড অফে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সেটা ফেলে দেন জো ডেনলি। আর্চার উদযাপনই শুরু করে দিয়েছিলেন, ক্যাচ মিসের পর অবিশ্বাস আর হতাশায় হেসেই ফেলেছেন। উইলিয়ামসনের রান তখন ৬৩, ৯৭ রানে আউট হতে পারতেন আরও একবার। এবার স্যাম কারানের থ্রো সরাসরি স্টাম্পে লাগলেই আউট হয়ে যেতেন উইলিয়ামসন। তবে ফাঁড়া কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন সেঞ্চুরি, ২৩১ বলে।

    টেলরকেও এরপর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। জো রুটকে পর পর তিন বলে চার, ছয়, ছয় মেরে রাজার মতোই পৌঁছে গেছেন সেঞ্চুরিতে। এর মধ্যেই রান হয়ে গেছে সাত হাজার, তার আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই কীর্তিটা ছিল শুধু স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের। টেলরের ফ্লেমিংকে ছাড়িয়ে যাওয়া অবশ্যসময়ের ব্যাপার, আর তাঁদের দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে আরেকটু এগিয়েছেন উইলিয়ামসন।

    দুজনের সেঞ্চুরির পরেই হ্যামিল্টনের আকাশ ভেঙে এসেছে বৃষ্টি। ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই।