সানডে, এডগারের গোলে জয়ে শুরু আবাহনীর
ফুলটাইম
আবাহনী ২-০ পুলিশ এফসি
ফেডারেশন কাপে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে উড়িয়ে দিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল আবাহনী। এবার প্রিমিয়ার লিগেও আবাহনীর শুরুটা হয়েছে পুলিশ এফসির বিপক্ষে জয় দিয়ে। তবে এবার জয়টা অতোখানি সহজ হয়নি আবাহনীর। সানডে চিজোবা আর এডগার বের্নাহার্ডটের দুই অর্ধের দুই গোলে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত হয়েছে মারিও লেমোসের দলের।
এএফসি কাপে মাজিয়ার বিপক্ষে খেলে আবাহনী দেশে ফিরেছিল দুইদিন আগে। এর পর একদিন অনুশীলন করেই মাঠে নেমে পড়তে হয়েছিল আবাহনীকে। অবশ্য ম্যাচশেষে জয়টা আপাতত স্বস্তি দিতে পারে তাদের।
পুলিশ এফসির বিপক্ষে শুরু থেকে প্রেস করে খেলতে চেয়েছিল আবাহনী। তাতে গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল প্রথম দশ মিনিটের ভেতরই। তবে সানডে গোলের সামনে থেকেও তখন হেড করেছিলেন বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধে আবাহনীর আক্রমণ পুরোটাই ছিল সানডে কেন্দ্রিক। ২৭ মিনিটে একবার গোলের ৩০ গজ দূর থেকে চেষ্টা করলেন, তখন লক্ষ্য মিস করে গেলেন অল্পের জন্য।
তখন পর্যন্তও পুলিশ তাদের নিজেদের অর্ধে থেকেই আবাহনীকে সামলাতে ব্যস্ত ছিল। তবে ম্যাচের আধঘন্টা পেরুনোর আগে তারাও দুইবার চেষ্টা চালালো। তাতে ভড়কেই গিয়েছিল আবাহনীর রক্ষণ। দুইবারই পুলিশ ফরোয়ার্ড আমিরুল ইসলাম ভালো জায়গা থেকে হেড করেছিলেন। আবাহনীর কপাল ভালো, একবারও লক্ষ্যে ছিল না আমিরুলের হেড।
আবাহনীর হতাশা কেটেছে বিরতির ঠিক আগে। কেরভেন্স বেলফোর্ট মিডফিল্ড থেকে একাই দৌড়ে প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক থ্রু পাস দিয়েছিলেন সানডেকে। বক্সের ভেতর ঢুকে নিচু শটে সানডেও বেলফোর্টের শ্রমের দাম রেখেছেন। বিরতির দুই মিনিট আগে তাতে ডাগ আউটে স্বস্তি মিলেছে লেমোসেরও।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পুলিশ এফসি আর সেভাবে আক্রমণেই ওঠেনি। খেলাও তাই হয়েছে একই ধারায়। আবাহনী বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও খালি হাতে ফিরছিল। সাদ উদ্দিনের শট একবার ক্লিয়ার হয়েছে গোললাইন থেকে, আরেকবার বেলফোর্ট গোলবঞ্চিত হলেন বারপোস্টের কারণে। সানডের শট ঠেকিয়ে দিয়ে পুলিশ গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরোধে। সব প্রতিরোধ ভেঙে ম্যাচ শেষের ৭ মিনিট বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত হয়েছে আবাহনীর।
কিরগিজ মিডফিল্ডার এডগার তখন করেছেন আবাহনীর জার্সিতে নিজের প্রথম গোল। বক্সের ভেতর নাবিব নেওয়াজ জীবনের লে-অফ থেকে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন এডগার। লিগের প্রথম রাউন্ড শেষে তাই বাকি সব বড়দলগুলো মতো ৩ পয়েন্ট সঙ্গী হয়েছে আবাহনীরও।