• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    ইয়ান স্মিথকে 'ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের' সম্মাননা দিল নিউজিল্যান্ড

    ইয়ান স্মিথকে 'ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের' সম্মাননা দিল নিউজিল্যান্ড    

    “ইংল্যান্ড হ্যাভ ওন দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ, বাই দ্য বেয়ারেস্ট অফ মার্জিনস”, “আই ক্যান্ট বিলিভ হোয়াট আই হ্যাভ জাস্ট সিন”- শেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইয়ান স্মিথের ধারাভাষ্য হয়তো গায়ে কাঁটা দেয় এখনও অনেকেরই। ধারাভাষ্যে স্মিথের উপস্থিতি মানেই যেন অন্য কিছু। তবে সেই স্মিথের আগে ক্রিকেটার স্মিথের ক্যারিয়ারটাও কম সমৃদ্ধ নয়। স্মিথকে এবার ‘ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের জন্য’ বার্ট সাটক্লিফ পদক দিয়ে সম্মাননা জানালো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। কভিড-১৯ এ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বার্ষিক পুরস্কার অনুষ্ঠান এবার অনলাইনে হচ্ছে তাদের, তারই প্রথম দিনে এই সম্মান জানানো হয়েছে তাকে। 

    ক্যারিয়ারে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬৩টি টেস্টের সঙ্গে ৯৮টি ওয়ানডে খেলেছেন তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই উইকেটকিপার, সব মিলিয়ে ২৬২টি ডিসমিসাল আছে তার। ‘আবেগপ্রবণ’ স্মিথ বলেছেন, ক্রিকেট খেলাটা ছিল তার স্বপ্ন, আর এই ভ্রমণের প্রতিটি সেকেন্ড তার কাছে অমূল্য। ধারাভাষ্যে দেশের মাটিতে হওয়া ১১২টি টেস্ট কাভার করেছেন তিনি। 

    স্মিথের আগে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের এই সম্মাননা পেয়েছেন ওয়াল্টার হ্যাডলি, মার্ভ ওয়ালেস, জন রিড, গ্রায়াম ডাওলিং, রিচার্ড হ্যাডলি ও এউইন চ্যাটফিল্ড। 

    “আমি কৃতজ্ঞ, এর আগে যারা এই পুরস্কার জিতেছেন তাদের কথা ভেবে আসলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি”, নিজের বাসা থেকে বলেছেন স্মিথ। “খেলাটা ছিল স্বপ্ন উপলব্ধি করার মতো। স্যার রিচার্ড হ্যাডলির বোলিংয়ে কিপিং করা, মার্টিন ক্রোকে পাশে ব্যাটিং করতে দেখা, অন্যদের সঙ্গে খেলার স্মৃতি আমি সযতনে রেখেছি।” 

    ধারাভাষ্য নিয়েও তার স্মৃতি কম নয়, “টেস্ট ক্রিকেটের প্রতিটি মিনিটের ধারাভাষ্য আমি উপভোগ করেছি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ট্রিপল সেঞ্চুরি আজীবন মনে থাকবে আমার। লর্ডসে টেস্ট জেতা, হোবার্টে জেতা। রস টেইলরের ২৯০, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক নাটকের পর ইডেন পার্কে ড্র, এবং অবশ্যই গত বছর বিশ্বকাপ ফাইনাল লর্ডসে।” 

    নিজের এই ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে এই পুরস্কার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, “এটা অসাধারণ এক ভ্রমণ, প্রতিটি সেকেন্ড আমার কাছে অমূল্য। এই পুরস্কার আমি আমার স্ত্রী লুইসকে উৎসর্গ করছি। ভ্রমণ এবং ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ জানবেন আপনার পায়ের নিচে শক্ত একটা মাটি দরকার। পুরোটা সময় জুড়ে লুইস আমার জন্য অসাধারণ ছিল।” 

    প্রথমদিন টি-টোয়েন্টির জন্য বর্ষসেরা ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সোফি ডিভাইন জিতেছেন মেয়েদের পুরস্কার, আর দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ডেভন কনওয়ে জিতেছেন ছেলেদের পুরস্কার। কনওয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন কিছুদিনের মাঝেই। এ দুজনই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ সুপার স্ম্যাশে ছিলেন অসাধারণ।