• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    বলে থুতু-লালার ব্যবহারে এখন আর সমস্যা দেখছেন না আইসিসির ক্রিকেট কমিটির শন পোলক

    বলে থুতু-লালার ব্যবহারে এখন আর সমস্যা দেখছেন না আইসিসির ক্রিকেট কমিটির শন পোলক    

    ক্রিকেট বলে থুতু বা লালার ব্যবহার যেরকম বিপজ্জনক হবে ভাবা হয়েছিল, ঠিক তেমন সমস্যা এখন আর সেটি তৈরি করবে না বলে মনে করেন আইসিসির ক্রিকেট কমিটির সদস্য শন পোলক। কভিড-১৯ মহামারিতে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে ভাইরাস এই মাধ্যমে ছড়াতে পারে বলে আপাতত বল মসৃণ করতে থুতু বা লালা নিষিদ্ধ করে শুধু ঘাম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসির ক্রিকেট কমিটি, যেটিতে মিডিয়া প্রতিনিধি হিসেবে আছেন পোলক। 

    পোলক বলছেন, যদি ম্যাচের আগে আইসোলেশন ও কোয়ারান্টাইন মানাই হয়, তাহলে আর এই নতুন নিয়মের প্রয়োজন নেই। খেলার জন্য যে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, সেটিই যথেষ্ট বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক। বলে থুতু বা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আলোচনা ওঠার শুরুর দিকে এমন মত দিয়েছিলেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার ও কমেন্টেটর মাইকেল হোল্ডিং-ও। 

    “সবার পরীক্ষা করা হবে, দুই সপ্তাহের ক্যাম্পে থাকবে যেখানে শারীরিক পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রাখবে তারা। যদি লক্ষণ না থাকে, তাহলে আসলে বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে আপনি কী ব্যবহার করলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ আপনি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন, করোনাভাইরাস আছে এমন কারও সংস্পর্শে আসেননি আপনি”, ফলোয়িং অন ক্রিকেট পডকাস্টকে পোলক বলেছেন, এমন জানিয়েছে উইজডেন।  

    “ফলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাবেন আপনি। আমার মনে হয় কোনও দর্শক থাকবে না মাঠে, যেখানেই খেলা হোক না কেন সেটি জীবাণুমুক্ত করা হবে, সংশ্লিষ্ট সবকিছুই করা হবে।” 
     


    আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলের সঙ্গে শন পোলক (বাঁয়ে)/আইসিসি


    ঠিক এসব কারণেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও আশাবাদি তিনি। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা আছে এই টুর্নামেন্টের। তবে কভিড-১৯ মহামারিতে যেটি ঝুলে আছে এখনও, আইসিসিও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতিতে আশা দেখছেন পোলক। 

    “অস্ট্রেলিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-তে নেমে এসেছে (অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সূত্র অনুযায়ী, ৬ জুন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘অ্যাকটিভ কেস’-এর সংখ্যা সে দেশে ৪৬০টি)। যদি তারা করোনামুক্ত হতে পারে, এবং দুই-তিন মাস এমন চলতে থাকে, তাহলে তো চার্টার করা ফ্লাইটে দলগুলি যেতেই পারে।” 

    “আইসোলেশন ক্যাম্পে- যেখানে খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা থাকবে, সঙ্গে কিছু অনুশীলনের সুবিধা- তাহলে দুই সপ্তাহ থাকার পর অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে যেতে পারে দলগুলি যেগুলো আগে থেকেই নিরাপদ করা।”  

    অবশ্য পোলক বলছেন, এগুলো শুধুই ভাবনা, আসল চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়েই, “একটা দল যদি অন্য দেশে যায়, একজনের ভাইরাস থাকলেও মুহুর্তের মাঝে পুরো সফর থমকে দাঁড়াবে। তবে আমার মনে হয়, একটা বিচ্ছিন্ন পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ারই সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবেশ আছে এখন।” 

    আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে এরই মাঝে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফেরার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মত দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস। 

    এদিকে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে ইংল্যান্ড। দুটি ‘বায়ো-সিকিউর’ ভেন্যুতে হবে এ তিনটি ম্যাচ, এর আগে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকবে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।