• ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে কিছু করা হবে কিনা, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে কিছু করা হবে কিনা, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ    

    জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মাঠে কিছু করবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের সবাই একমত হলেই এ ব্যাপারে কিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়জ জেসন হোল্ডার।

    ৩ টেস্টের সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর জুমের মাধ্যমে সফরে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন হোল্ডার। চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সামিল হয়ে ম্যাচের সময় উইন্ডিজ খেলোয়াড়রা বিশেষ কিছু করবেন কিনা, সে বিষয়ে জানতে যাওয়া হয়েছিল সেখানেই। হোল্ডার বলেছেন, আপাতত অপেক্ষা করবেন তারা, “আমরা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে তার আগে এখানে বসে দলের অন্য সদস্যদের সাথে কথা না বলে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সেটা করা ঠিক হবে না।”
     


    অবশ্য বর্ণবাদবিরোধী এই আন্দোলনের সঙ্গে খেলোয়াড়দের একাত্মতা প্রকাশের বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকেও সরাসরি বিধি-নিষেধ নেই এবার। বর্ণবাদবিরোধী যে কোনো প্রতিবাদের পক্ষে আছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাই মাঠে যদি বর্ণবাদবিরোধী আচরণ হয় তাহলে তা ‘বিবেচনাবোধ’ খাটিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্থাটি।

    তবে হোল্ডার সবকিছুর ব্যাপারে সচেতন হতে চান আগে, “আমি চাই আমরা যাই করি না কেন, সেটা যেন ঠিকভাবে করা হয়। আর পুরো দল একমত হলেই কেবল আমরা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশেষ কিছু হয়ত করব। আমার জন্য একতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এখনকার দিনে অনেক মানুষই আশপাশে কী ঘটছে তা বুঝতে পারে না। তাই নিজেদেরকে সচেতন করার মাধ্যমে পরিবর্তন আনার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় হয় না।”

    এদিকে করোনা মহামারীর মাঝে ইংল্যান্ড সফরে আসার ব্যাপারে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বেশ নিরাপদ বোধ করছেন বলে জানান তিনি, “সত্যি বলতে আমি বেশ নিরাপদবোধ করছি। ইসিবিকে ধন্যবাদ, তারা দারুণ কাজ করছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড সফর কেমন হতে পারে সেটি নিয়ে নিজেদের সব ধরনের কৌতূহল মিটিয়ে তবেই এখানে এসেছি। সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটা জরুরী ছিল। এর ফলে কোনও খেলোয়াড়কে আসতে জোর করতে হয়নি, সবাই নিজেদের ইচ্ছাতেই এখানে এসেছে।”

    এ সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন ৩ জন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার- কিমো পল, ড্যারেন ব্রাভো ও শিমরন হেটমায়ার।