• ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ৫০০-এর পাঁচমিশালী

    স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ৫০০-এর পাঁচমিশালী    

    ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে এলবিডব্লিউ করে ক্যারিয়ের ৫০০ উইকেট পূর্ণ করলেন ব্রড। ইতিহাসে ৭ম বোলার ও ৪র্থ পেসার হিসেবে। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের শেষদিনে এই কীর্তি হয়েছে তার। 


    এলিট ক্লাবে ব্রড 

    ১৯ মার্চ ২০০১ সালে সবার আগে এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন কোর্টনি ওয়ালস। ২০০৪ সালের ১২ মার্চ শেন ওয়ার্নের ঠিক ৪ দিন পর ৫০০ পূরণ করেন আরেক স্পিন কিংবদন্তী মুত্তিয়া মুরালিধরনও। ২০০৫ সালের জুলাইয়ে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ৫০০ উইকেট পেয়েছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা, পরের বছরের মার্চে এই মাইলফলক ছুঁঁয়ে ফেলেন অনীল কুম্বলে। শেষ ২০১৭ সালে প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ব্রড সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ইংলিশ বোলার, চতুর্থ পেসার। 

    ব্রাথওয়েট, ব্রাথওয়েট 

    ২০১৭ সালে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে বোল্ড করে ৫০০ উইকেট পূর্ণ করেছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন, লর্ডসে সিরিজের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২য় ইনিংসে। ৩ বছর পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেই ব্রাথওয়েটকে এলবিডব্লিউ করেই ৫০০ উইকেট পূর্ণ করলেন ব্রডও। এটিও সিরিজের শেষ টেস্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২য় ইনিংস! কোর্টনি ওয়ালশের ৫০০তম উইকেট ছিলেন জ্যাক ক্যালিস, শেন ওয়ার্নের হাসান তিলকারত্নে, মুরালিধরনের মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ, ম্যাকগ্রার মার্কাস ট্রেসকোথিক, কুম্বলের স্টিভ হার্মিসন।  
     


    অ্যান্ডারসন, ব্রড : রাজকীয় জুটি

    অ্যান্ডারসনের সঙ্গে তার নামটা যেন সমোচ্চরিত, দুজনের নামটা চলে আসে একসঙ্গেই। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুজনই খেলছেন একই সঙ্গে, টেস্ট ক্রিকেট তাই প্রথমবারের মতো দুজন ৫০০-উইকেট পাওয়া পেসারকে খেলতে দেখল একসঙ্গে! এর আগে একসঙ্গে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনার ওয়ার্ন ও পেসার ম্যাকগ্রা। ইতিহাসে এখন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়া আর কোনও দেশের একাধিক বোলারেরও নেই ৫০০ উইকেট। ইতিহাসে একসঙ্গে খেলা টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলিং জুটিতে দ্বিতীয় সেরা শ্রীলঙ্কার মুরালি-চামিন্দা ভাসকে (৮৯৫) উইকেটকে ছাড়িয়ে যেতে আর মাত্র ২ উইকেট প্রয়োজন অ্যান্ডারসন-ব্রডের (৮৯৪)। সবচেয়ে সফল বোলিং জুটি ম্যাকগ্রা-ওয়ার্নের (১০০১)। 

    ‘অল্প’ বয়সে, ‘কম’ সময়ে 

    মুরালিধরন যখন মাইলফলকে পৌঁছান, তার বয়স ছিল ৩১ বছর ৩৩৪ দিন। ৩৪ বছর ৩২ দিনে সেটি করলেন ব্রড। ইতিহাসে মুরালিধরনের পর সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে এ কীর্তি হলো ব্রডের। অভিষেকের পর ৫০০ উইকেটে যেতে ব্রডের লাগলো ১৪০ টেস্ট। তবে ক্যারিয়ারের বয়স ১৩ বছর ১৯ দিন হওয়ার সময়ই এ রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর চেয়ে কম সময় লেগেছিল তিনজনের-- মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রার। ম্যাচের হিসেবে অবশ্য ব্রড সবার পরে, সবার আগে মুরালিধরন-- ৮৭ টেস্টেই ৫০০ উইকেট পূর্ণ করেছিলেন তিনি। 

    প্রিয় শিকারে এগিয়ে 

    ছয়বারের বেশি আউট করেছেন, ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ব্রডের শিকার আছেন এমন ১৩ জন ব্যাটসম্যান-- ডেভিড ওয়ার্নার, মাইকেল ক্লার্ক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, রস টেইলর, ক্রিস রজার্স, হাশিম আমলা, শেন ওয়াটসন, স্টিভ স্মিথ, মিচেল জনসন, এমএস ধোনি, টম ল্যাথাম, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কেমার রোচ। ইতিহাসে আর কোনও পেসারের এমন ‘প্রিয় শিকারের দীর্ঘ তালিকা’ নেই। ডেনিস লিলি ও জেমস অ্যান্ডারসনের এমন ‘শিকার’ আছে ১২ জন। সব বোলারের ক্ষেত্রের ব্রডের চেয়ে এগিয়ে শুধু শেন ওয়ার্ন (২৫) ও মুত্তিয়া মুরালিধরন (২১)।