আগের পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ীই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। কভিড-১৯ মহামারিতে এখন পর্যন্ত ছয়টি সিরিজ স্থগিত হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের, যার মধ্যে চারটিই বাংলাদেশের। এরই মাঝে স্থগিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। পরিস্থিতি কখন কী হবে, সেটি সম্বন্ধে নিশ্চিত না হলেও আপাতত আগের পরিকল্পনাতেই চ্যাম্পিয়নশিপ এগিয়ে নিতে চায় আইসিসি। সেক্ষেত্রে স্থগিত সিরিজগুলির দিকে আগে নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস।
প্রথমবারের মতো চালু হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হওয়ার কথা পরের বছরের মার্চে। যুক্তরাজ্যে শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হওয়ার কথা একটি ফাইনালও। তবে কভিড-১৯ এর আঘাতে একের পর এক সিরিজ বাতিলে সেসব পড়ে গেছে সংশয়ের মাঝে। এর মাঝে বাতিল হওয়া সিরিজগুলি হচ্ছে-- শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড, পাকিস্তান-বাংলাদেশ (এক টেস্ট), ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।
কভিড-১৯ এর পর ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ দিয়ে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এ সিরিজও ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মাঝেই। আপাতত সূচিতে খেলা আছে ইংল্যান্ডেরই, এরপর ৩০ জুলাই থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা।
“আমরা বোর্ডগুলির সঙ্গে স্থগিত সিরিজের নতুন সূচির ব্যাপারে আলোচনা করছি”, বলেছেন অ্যালারডাইস। “ইংলিশ গ্রীষ্মে দুটি টেস্ট সিরিজই হবে বলে মনে হচ্ছে, এরপর যেটা জানি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা হচ্ছে। তবে এর বাইরে সূচিতে পরবর্তী সিরিজ আছে নভেম্বরের শেষে নিউজিল্যান্ডে। ফোকাস থাকবে যে ছয়টি সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে, ফিরে এসে সেগুলো যাতে খেলা যায়।”
“আপাতত কিছু আলোচনা চলছে, তবে আমরা সব সদস্যের থেকে আপডেট পাওয়ার প্রক্রিয়ার ভেতর আছি, তারা কী ভাবছে সেসব। এই মুহুর্তে সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগুচ্ছে। ইংল্যান্ডের এই সিরিজ চ্যাম্পিয়নশিপের ভেতরে, এবং আগে যেগুলো বলা হয়েছিল সেগুলোও এর ভেতরেই থাকবে। এখন পরের বছর মার্চের ভেতর এটি শেষ হবে সেটা দেখার বিষয়।”
গত কয়েক মাসে যেভাবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেটি মাথায় রেখে এখনও নির্দিষ্ট দিন-তারিখ মাথায় নেই আইসিসির, জানিয়েছেন তিনি। আগে বোর্ডগুলির কাছ থেকে শোনার পরই পুনরায় সূচি ঠিক করা হবে।
এদিকে পরের এফটিপি সাইকেলে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি চালুর ভাবনাও করছে আইসিসি।