• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    ক্রিকেটারদের করোনাভাইরাসের হদিস জানতে বিসিবির অ্যাপ

    ক্রিকেটারদের করোনাভাইরাসের হদিস জানতে বিসিবির অ্যাপ    

    করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতা দেখভাল করতে অ্যাপ চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ‘কভিড-১৯ ওয়েলনেস’ নামের এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের বর্তমান অবস্থার তথ্য জানতে পারবে বিসিবি। অনুশীলন ও ক্রিকেটে ফিরতে এই অ্যাপ থেকে পাওয়া ডাটা কাজে লাগবে বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। 

    ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক রাউন্ডের পর থেকে বাংলাদেশে কার্যত বন্ধ আছে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম। দিনদিন কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাতিল হচ্ছে একের পর এক সফর। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশবাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সেপ্টেম্বরের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই আর বাংলাদেশের। ঘরোয়া ক্রিকেট কবে ফিরবে, অনিশ্চিত সেটাও।
     

    আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসের পর ক্রিকেটে কোন দেশ কবে ফিরছে?


    তবে ক্রিকেটারদের মাঠে বা অনুশীলনে ফেরাতে চায় বিসিবি। নতুন এই অ্যাপ সেটিতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন বিসিবির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)-এর ম্যানেজার নাসির আহমেদ, “করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়াতে একটা অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পড়েছি আমরা, সেটি বিবেচনায় রেখেই অ্যাপটি বানানো হয়েছে। খেলোয়াড়রা এরই মাঝে ইনপুট দেওয়া শুরু করেছেন। আজ হোক, কাল হোক, আমাদের অনুশীলনে ফেরার ভাবনা আছে। কভিড-১৯ ওয়েলনেস অ্যাপ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় দারুণ কার্যকরী হবে।” 

    যে কোনও স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইস থেকে এই অ্যাপে ঢোকা যাবে। খেলোয়াড়রা প্রতিদিন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবেন, যেগুলো কভিড-১৯ এর উপসর্গ এবং তাদের আচরণগত দিক সংশ্লিষ্ট। “এসব প্রশ্ন বিসিবির মেডিকেল টিমের সঙ্গে মিলিয়ে সেট করা হয়েছে। এগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর কেউ ঝুঁকিতে আছে কিনা, এই অ্যাপ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করতে হবে কিনা-- সেসব বলবে”, জানিয়েছেন নাসির। 
     


    বিসিবির কভিড-১৯ ওয়েলনেস অ্যাপ


    “যেহেতু এটা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত একটা পদ্ধতি, ফলে প্রাপ্ত তথ্য জরুরীভিত্তিতে খুব দ্রুত কাজে লাগানো যাবে। খেলোয়াড়দের অনুশীলন, কার কার সংস্পর্শে এসেছেন সেটির হদিস পাওয়া, সন্দেহভাজন কারও জন্য পরামর্শ, এমনকি প্রয়োজন পড়লে আইসোলেশন বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পাওয়া ফিডব্যাক এই অ্যাপে থাকা লাল, কমলা ও সবুজ রঙের ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পর্যবেক্ষণ করা হবে। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে সেভাবেই। কেউ যদি ‘রেড’ ক্যাটাগরিতে থাকেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিসিবি কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গেই জানতে পারবেন।” 

    শুরুর দিকে জাতীয় দলের ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটারের সঙ্গে অ-১৯ স্কোয়াডের সদস্যদের জন্য ব্যবহার করা হবে এই অ্যাপ। দরকার পড়লে এই অ্যাপের পরিসর বাড়ানো হবে, এমন জানিয়েছে বিসিবি। এজটেন নামের এক সফটওয়্যার কোম্পানির সহায়তায় এই অ্যাপ বানিয়েছে তারা।

    এরই মাঝে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন শীর্ষ পর্যায়ের তিন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার-- জাতীয় দলের বিদায়ী ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও সাবেক ওপেনার নাফীস ইকবাল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ।