স্থগিত ২০২০ এশিয়া কাপ, পরের বছর আয়োজনের আশা এসিসির
স্থগিত করা হয়েছে ২০২০ সালের এশিয়া কাপ। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ‘ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, দেশভেদে কোয়ারান্টাইনের বাধ্যবাধকতা, মৌলিক স্বাস্থ্য-ঝুঁকির কথা ভেবে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল, এসিসি।
এর আগে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, বাতিল হয়ে গেছে এশিয়া কাপ। যদিও পিসিবি ও বিসিবির পক্ষ থেকে সেটি অস্বীকার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এশিয়া কাপ স্থগিতের সিদ্ধান্তই অফিশিয়ালি জানালো এসিসি।
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে কয়েকদফা বসেছিল এসিসি, কভিড-১৯ মহামারিতে এ টুর্নামেন্টের বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করতে। শুরুতে তারা নির্ধারিত সময়েই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পক্ষে ছিল, তবে মত বদলাতে হয়েছে পরবর্তীতে।
“সবার ওপরে খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, বাণিজ্যিক সহযোগী, সমর্থক এবং ক্রিকেট সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে, এ অনুযায়ীই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২০ এশিয়া কাপ স্থগিত করা হবে। যথাযথ পরিস্থিতিতে এটি আয়োজন সবার আগে প্রাধান্য পাবে”, বিবৃতিতে বলেছে এসিসি।
২০২১ সালের জুনে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের আশা করছে সংস্থাটি। এমনিতে এ বছরের টুর্নামেন্ট পাকিস্তান হওয়ার কথা থাকলেও পিসিবি ও এসএলসি আয়োজনের স্বত্ত্ব অদল-বদল করেছিল, ফলে এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। এসিসি বলছে, ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কাই এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে, পাকিস্তান করবে ২০২২ সালে তার পরের আসর।
এশিয়া কাপ স্থগিত হওয়াতে আরেকদফা পিছিয়ে পড়লো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা। এর আগে আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা থাকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও স্থগিত হয়ে গেলে বাংলাদেশের জন্য এফটিপিতে পড়ে থাকবে শুধু নিউজিল্যান্ড সফর (টি-টোয়েন্টি) ও শ্রীলঙ্কার (ওয়ানডে) সফর।
গত ৪ জুলাই ক্রিকবাজকে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানিয়েছিলেন, এশিয়া কাপের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত এলে ২৪ জনকে নিয়ে প্রাথমিক ক্যাম্প, আর নাহলে ৩৭ জনকে নিয়ে স্কিল ক্যাম্প করার কথা বলেছিলেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছে বাংলাদেশ জাতীয় দল, এক রাউন্ডের পর স্থগিত হয়ে গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও। তবে সম্প্রতি সিসিডিএম জানিয়েছে, বিকেএসপি ও কক্সবাজারকে বিবেচনায় এনে এ টুর্নামেন্ট ফেরানোর চেষ্টা করছেন তারা।