• ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    ব্রডের ভেতর 'বারুদ' দেখতে না পেলেই অবাক হতেন স্টোকস

    ব্রডের ভেতর 'বারুদ' দেখতে না পেলেই অবাক হতেন স্টোকস    

    হারার পর প্রশ্নটা উঠতই। বেন স্টোকসের অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ারের প্রথম বাউন্সারটা অনুমিতভাবেই এলো। স্টুয়ার্ট ব্রডকে একাদশের বাইরে রাখার জন্য আফসোস হয়েছে কিনা, সাউদাম্পটন টেস্টে হারের পর প্রশ্নটা উঠল ইংল্যান্ডের আপৎকালীন অধিনায়কের দিকে। স্টোকস অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, আগের কোনো কিছুর জন্য আফসোস করেন না তিনি। তবে ব্রডের ‘ক্ষোভটা’ ভালো লেগেছে তার, সেটাও বললেন অকপটে।

    ২০১২ থেকে দেশের মাটিতে টানা ৫১টি টেস্ট খেলেছিলেন ব্রড। কিন্তু যুগটা সাঙ্গ হলো সাউদাম্পটনে এসে, ব্রডকে বাইরে রেখেই একাদশ সাজাল ইংল্যান্ড। সিদ্ধান্তটা সহজভাবে নিতে পারেননি ব্রড, নিজের ক্ষোভটা জানিয়েছেন প্রকাশ্যেই। অ্যাশেজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দারুণ বল করেও জায়গা পাননি, সেজন্য ব্রড হতাশও ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ রাখার সিদ্ধান্তও ব্যাকফায়ার করেছে ইংল্যান্ডের জন্য। মেঘলা উইকেটে প্রথম বল করলে ব্রডের সুইং কাজে লাগাতে পারত, সেটা হয়নি। শেষ ইনিংসে আর্চার-উডের ওপর ভরসা করলেও সেটাও কাজে আসেনি। অসমান বাউন্সের উইকেটেও ব্ল্যাকউড দারুণ খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিয়েছেন দারুণ একটা জয়।

    ব্রডকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠল স্টোকসের দিকে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, ‘আমি যদি বলি নির্বাচন নিয়ে আমার আক্ষেপ আছে সেটা বাকিদের জন্য ভালো একটা বার্তা নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই টস্টে শেষ পর্যন্ত পেস আমাদের জন্য বেশি সহায়ক হবে। আর আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটার পক্ষে আপনাকে দাঁড়াতে হবে। আমি ওরকম মানুষ নই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার পরে সেটা নিয়ে হাহুতাশ করব।’

    তবে ম্যানচেস্টারের পরের টেস্টে ব্রড ফিরতে পারেন, আভাস দিয়ে রাখলেন স্টোকস, ‘আমি ব্রডের সাক্ষাৎকার দেখেছি। দারুণ ছিল ওটা। একশর বেশি টেস্ট খেলেছে ও, অনেক উইকেট নিয়েছে। এখনো ওর মধ্যে যে ক্ষুধা আর বারুদ দেখা যাচ্ছে সেটা আসলেই দুর্দান্ত। এই জেদটা ওর ভেতর না দেখলেই আমি অবাক হতাম। ইংল্যান্ডকে এখনো অনেক কিছুই দেওয়ার আছে তার। দ্বিতীয় টেস্ট যদি সে খেলে, আশা করব এটার ছাপ তার মধ্যে থাকবে।’