বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার আর্চার, সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে খেলাকে 'ঠুনকো' বললেন
‘বায়ো-সিকিউর প্রটোকল’ ভাঙার পর থেকেই বেশ চাপের মুখে রয়েছেন ইংলিশ পেসার জফরা আর্চার। কঠিন সময়ে সতীর্থদের পাশে পেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। আর সেখানেই কেউ কেউ তার দিকে বর্ণবাদী মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে লেখা কলামে উল্লেখ করেছে আর্চার।
নিয়ম ভেঙে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় এরই মধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জরিমানা করেছে তাকে। সঙ্গে ৫ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। দুবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়ে আবারও দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। ইংল্যান্ড দলের পরিচালক অ্যাশলি জাইলসের মতে, আর্চারের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে বোর্ডের বড় অংকের ক্ষতি হতে পারত।
তবে আইসোলেশনে থেকে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন আর্চার, “আমার সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছিল, আর সেটার জন্য আমি শাস্তি পেয়েছি। তবে আমি কোনও অপরাধ করিনি, আমি আবারও নিজেকে ফিরে পেতে চাই। আমি যাই করেছি তাই এই সপ্তাহে খবর হয়েছে। আমি জোরে হাঁচি দিলেও সেটা শিরোনাম হয়েছে। সোজা ভাষায়, আমি যদি ৯০ মাইল গতিতে বোলিং না করতে পারি সেটা খবর। আমি যদি দীর্ঘ সময় ৯০ মাইল গতিতে বোলিং না করি সেটা খবর। আমি যদি বাম পায়ের মোজা আগে পরিধান করি, সেটাও খবর। এই পর্যায়ে খেলার বিড়ম্বনা বোধহয় এটাই।”
এছাড়াও কলামে বেন স্টোকসের সবাইকে আর্চারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামের বর্ণবাদী মন্তব্যের বিষয়টি ইসিবিকে অবগত করেছেন বলেও কলামে জানিয়েছেন তিনি।
তাকে নিয়ে লোকের ভাবনা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ ফরোয়ার্ড মার্কাস রাশফোর্ডের উদাহরণ টেনেছেন আর্চার। স্কুলের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে খাবারের যোগান দিতে সরকারকে বাধ্য করার পর রাশফোর্ডের অনেক প্রশংসা করা হয়। কিন্তু মাঠে কয়েক মিনিট ভালো না খেলার পরই লোকে সেসব ভুলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাকেও লোকে অনেকটা এভাবেই মূল্যায়ন করে বলে কলামে লিখেছেন আর্চার, “প্রথম ইনিংসে শুনি আমি নাকি অতিমূল্যায়িত। আর দ্বিতীয় ইনিংসে একটু ভালো করার পরই ‘সে দারুণ খেলোয়াড়’ বলতে শোনা যায়। এটাই ক্রিকেট। কিছু দিন খুব ভালো যাবে, কিছু দিন তার উল্টো। কেউই সবসময় দারুণ পারফর্ম করবে না। কখনও কখনও সত্যিকারার্থে মনে হয় এটা আসলে ন্যায্য পৃথিবী নয়।”
“আর চারদিকে অনেক নেতিবাচকতা অনুভব করি। আমি মাত্র ৮ টেস্ট খেলেছি। মাত্র ৮ ম্যাচ খেলা একজনকে আপনি কীভাবে অতিমূল্যায়িত বলতে পারেন?”