• আয়ারল্যান্ডের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডকে সেই ৩২৯ আর বেঙ্গালুরুকে মনে করিয়ে দিল আয়ারল্যান্ড

    সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডকে সেই ৩২৯ আর বেঙ্গালুরুকে মনে করিয়ে দিল আয়ারল্যান্ড    

    ইংল্যান্ড ৪৯.৫ ওভারে ৩২৮ অলআউট (মরগান ১০৬, ব্যান্টন ৫৮; ইয়াং ৩/৫৩)

    আয়ারল্যান্ড ৪৯.৫ ওভারে ৩২৯/৩ (স্টার্লিং ১৪২, বালবির্নি ১১৩; রশিদ ১/৬১)

    ফলঃ আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।

     


    সেই বেঙ্গালুরুই আবার ফিরে এলো সাউদাম্পটনে। সেই কেভিন ও ব্রায়েন এবারও এনে দিলেন জয়। তার চেয়েও বড় কাকতালীয়, বেঙ্গালুরুর মতো ঠিক ৩২৯ রান করেই জিতল আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়, অথচ সেটিতে অভাব নেই কাকতালের! ২০১৫ সালের পর আইসিসির কোনো পূর্ণসদস্য দেশের বিপক্ষেও এটি আয়ারল্যান্ডের প্রথম জয়।

    ২০১১ সালের বেঙ্গালুরুর মতো অবশ্য এতোটা অভাবনীয় মনে হয়নি কালকের জয়টা। ৩২৯ রান তাড়া করে জয়ের ভিতটা এনে দিয়েছিলেন পল স্টার্লিং আর অ্যান্ডি বালবির্নি। ৫০ রানে গ্যারেথ ডেলানিকে হারানোর দুজনের ২১৪ রানের জুটিতেই পথ পায় আয়ারল্যান্ড। স্টার্লিং উইলির বিপক্ষে আগের ম্যাচগুলোতে ভুগলেও কাল খেলেছেন দারুণ। স্পিনের বিপক্ষেও কাল স্টার্লিং আর বালবির্নি ছিলেন সপ্রতিভ। সেঞ্চুরিটা আগে পেয়েছেন স্টার্লিংই, ৯৬ বলে পৌঁছে গেলেন তিন অংকে। খানিক পর বালবির্নিও ছুঁয়েছেন তাকে, ঠিক ১০০ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। ১৪২ রান করে স্টার্লিং রান আউট হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য নাটক জমেছিল। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বোলাররাও চেপে ধরায় আস্কিং রেট নয়ের বেশি হয়ে যায় শেষ দিকে।

    তবে ২০১১ সালের নায়ক ও ব্রায়েন আর হ্যারি টেক্টর কাল কোনো বিপদ হতে দেননি। দুজন যখন জুটি বেঁধেছেন, ৩৩ বলে দরকার ৫০ রান। সেখান থেকে কাজটা সহজেই সেরেছেন দুজন। শেহশ ৩ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান, দুই ওভারে ১৭ রান। সাকিব মাহমুদের শেষ ওভার থেকে দরকার ছিল ৮ রান। তৃতীয় বলটা নো বল করেই সাকিব অনেকটা নিশ্চিত করে দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের জয়। এক বল হাতে রেখেই তাই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন ও ব্রায়েনরা।

    তার আগে ম্যাচের প্রথম অংশের নায়কও ছিলেন এক আইরিশ, শুধু তার গায়ে ছিল ইংল্যান্ডের জার্সি। অন্য পাশ থেকে খুব একটা সহায়তা না পেলেও অইন মরগান কাল একাই ছিন্নভিন্ন করেছেন আয়ারল্যান্ডকে। ১৪ রানের মধ্যেই জেসন রয় ও জনি বেইরস্টকে হারায় ইংল্যান্ড, ৪৪ রানে ফিরে যান জেমস ভিন্স। এরপর মরগান শুরু করেন পালটা আক্রমণ। ৩৯ বলে ফিফটি করেন, সেঞ্চুরি করতে খেলতে হয় মাত্র ৭৮ বল। তবে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড, মরগান ৮৪ বলে ১০৬ রান করে ফিরে যান। টম ব্যান্টন করেন ৫৮ রান, তবে ইংল্যান্ডকে ৩০০ পার করানোর জন্য মূল অবদান উইলি আর টম কারানের। ৪২ বলে ৫১ রান করেছেন উইলি, কারান ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৩২৯ রান করেও সেটা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি ইংল্যান্ডের জন্য।