• পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    নিজের ভবিষ্যত নিয়ে মুখ খুললেন অ্যান্ডারসন

    নিজের ভবিষ্যত নিয়ে মুখ খুললেন অ্যান্ডারসন    

    নিজের অবসরের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। দলের জন্য ভাল করার ক্ষেত্রে নিজের ক্ষুধাটা এখনও আছে তার, এমন জানিয়ে অ্যান্ডারসন বলেছেন, এক ম্যাচ খারাপ করলেই অবসরের কথা ওঠার এই ব্যাপারটা মোটেই ন্যায্য মনে হয় না তার কাছে।  

    পাকিস্তানের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এ গ্রীষ্মে ৩ টেস্টে এখন পর্যন্ত ৪১.১৬ গড়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩৮ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন পাকিস্তান সিরিজের পরই বিদায় বলছেন, এমন কানাঘুষাও চলছিল। 

    তবে তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সেসব নাকচ করেছেন, “অবশ্যই না (অবসরের কথা ভাবছি না)। গেল সপ্তাহটা ব্যক্তিগতভাবে খুবই হতাশার ছিল আমার কাছে, কারণ আমি ভাল বোলিং করিনি, আমার মনে হয়েছে আমি ছন্দে নেই। হয়তো শেষ ১০ বছরে প্রথমবারের মতো আমি একটু আবেগী হয়ে পড়েছিলাম মাঠে, হতাশ হওয়া শুরু করেছিলাম, এবং এগুলো আমাকে একটু পেয়ে বসছিল।”

    “এগুলো আমাকে খেলা শুরুর দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যখন হতাশ হলে আপনি আরও জোরে বোলিং করতে চাইতেন। এবং অবশ্যই, সেসব কাজে আসতো না।

    “আমার জন্য ব্যাপারটা এখন সাউদাম্পটনে যাওয়া, পরের দিনগুলিতে কঠোর পরিশ্রম করা, টেকনিক্যাল কোনও ঝামেলা আছে কিনা সেটি বের করে ঠিক করার। চেষ্টা করে যাওয়ার, যাতে পরের ম্যাচে সুযোগ হয়, এবং সবাইকে দেখানো যে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে যা প্রয়োজন, আমার এখনও তা আছে।” 

    ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বোলার ও ইতিহাসের সফলতম পেসারের ৬০০ উইকেট পেতে প্রয়োজন আর ১০টি। মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন ও অনীল কুম্বলের পরই টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া বোলারের তালিকায় আছেন তিনি। 

    তবে অ্যান্ডারসন সে মাইলফলক নিয়ে আপাতত ভাবছেন না, “যদি ৬০০ উইকেট পাই, তাহলে সেটা দারুণ হবে। তবে যদি না পাই, তাহলে যা পেয়েছি তাতেই খুশি থাকব আমি। আমি জানি এই সপ্তাহের চেয়ে ভাল পারফর্ম করার সামর্থ্য আছে আমার। আমি আরও ভাল করতে চাই, ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জেতাতে চাই।

    “অবশ্যই আমি (পরের) অ্যাশেজে খেলতে চাই। তবে সেটি এখন ফোকাস নয় আমার। আমি যতোখানি সম্ভব খেলতে চাই। এখনও খেলার ক্ষুধাটা আছে আমার।” 

    তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের উন্নতি করার কোনও বিকল্প নেই, সেটি মানছেন তিনি, “আমি যদি এমনই করতে থাকি, তাহলে অবসর নেওয়ার ব্যাপারটি আর আমার হাতে থাকবে না। এটা তখন দল নির্বাচনের একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। এবং আমার জন্য হতাশার হচ্ছে এই কানাঘুষা, একটা ম্যাচ খারাপ করলেই যেগুলো চলে আসে। আমার মনে হয় না এগুলো ন্যায্য।”

    এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাদ পড়ার পর আরেক পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড অবসরের চিন্তা করেছিলেন। তবে পরের দুই টেস্টে দারুণ পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকেও সিরিজ জেতাতে সহায়তা করার সঙ্গে ৭ম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন ব্রড।