• আইপিএল ২০২০
  • " />

     

    কোহলিকে বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ গম্ভীরের

    কোহলিকে বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ গম্ভীরের    

    জন্মদিনটা ভালো গেল না বিরাট কোহলির। একদিন পরেই যে তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বাদ পরেছে আইপিএল থেকে। এবার প্লে-অফে হায়দরাবাদের কাছে হেরে নিতে হয়েছে বিদায়। সাম্প্রতিক এই ব্যর্থতার পর কোহলিরই একসময়ের সতীর্থ গৌতম গম্ভীর বলছেন, কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে রাখা নিয়ে এবার ভাবা উচিত বেঙ্গালুরুর।

    আইপিএল ভাগ্যটা কখনোই ভালো ছিল না কোহলির। আট বছর ধরে অধিনায়কত্ব করছেন বেঙ্গালুরুর, কিন্তু একবারও শিরোপা জেতাতে পারেননি। এবার শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল, এমনকি শেষ চারে ম্যাচে হেরেও নিশ্চিত হয়েছিল প্লে-অফ। কিন্তু সেই হারের বৃত্ত থেকে আর বের হওয়া হলো না।

    আরও একবার বেঙ্গালুরুর ব্যর্থতার পর গম্ভীর তাই দলকে সামনে তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন ইএসপিএন এর শোতে, ‘সমস্যাটা হচ্ছে আসলে জবাবদিহিতার। আট বছর ধরে কোনো ট্রফি পাওয়া হয়নি, আট বছর অনেক লম্বা একটা সময়। আমাকে একজন অধিনায়কের নাম বলুন, যে আট বছর বছর ধরে কিছু না জিতে অধিনায়কত্ব করছেন। আচ্ছা, অধিনায়কের কথা বাদ দিন, একজন খেলোয়াড়ের কথাই বলুন। এখানে প্রশ্নটা হচ্ছে জবাবদিহিতার। একজন অধিনায়ককে ওই দায়টা নিতে হবে।’

    সেজন্য কোহলিকেই দায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গম্ভীর, ‘এটা আসলে এক বছরের জন্য নয়। কোহলির বিরুদ্ধে আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু কখনো না কখনো তাকে বলতে হবে, হ্যাঁ, দায়িত্বটা আমার। এর জন্য আমিই দায়ী। আট বছর অনেক লম্বা একটা সময়। এমন নয়, যে কোহলি অনভিজ্ঞ। ভারতের হয়ে সে নিয়মিত অধিনায়কত্ব করেছে। কিন্তু আইপিএলে সে পারেনি। এত লম্বা সময় থাকলে আপনাকে একটা না একটা ফল দেখাতেই হবে। খেলা ব্যাপারটাই হচ্ছে এই ফল এনে দেওয়ার।’

    অশ্বিনের উদাহরণটা সামনে টেনেছেন গম্ভীর, ‘অশ্বিনের কথা ধরুন। দুই বছর সে পাঞ্জাবের অধিনায়ক ছিল। কিন্তু সাফল্য না পাওয়ায় চলে যেতে হয়েছে তাকে। আমরা ধোনি বা রোহিত শর্মার কথা বলি। ধোনি তিনটা আইপিএল জিতেছে, রোহিত চারটি জিতেছে। তারা দুজনই লম্বা সময় ধরে অধিনায়কত্ব করছে। আমি নিশ্চিত আট বছর সাফল্য এনে দিতে না পারলে রোহিতকেও সরে যেতে হতো। আলাদা আলাদা মানুষের জন্য আলাদা আলাদা মানদন্ড থাকা উচিত নয়।’

    বেঙ্গালুরুর খেলারও সমালোচনা করেছেন গম্ভীর, ‘আমি বলব প্লে অফ খেলাটাও ওদের প্রাপ্য ছিল। শেষ কয়টা ম্যাচে ওরা কী খেলেছে দেখুন। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে সাইনি ওরকম না করলেও জেতে না। ব্যাটিং বা বোলিং কোনোটাতেই খুব ভালো কিছু করতে পারেনি তারা।’

    কোহলির নিজের ফর্মও এবার খুব ভালো ছিল না। ৪৬৬ রান করেছেন, কিন্তু ১২১ স্ট্রাইক রেটের চেয়ে খারাপ ছিল প্রথম দশের মধ্যে শুধু আর একজনের। এবারের মৌসুমটা সব মিলে ভুলেই যেতে চাইবেন কোহলি।