হেরেও ফাইনালে সালমাদের ট্রেইলব্লেজারস, সঙ্গী সুপারনোভাস, বিদায় জাহানারাদের
সুপারনোভাস ১৪৬-৬, ২০ ওভার (আতাপাত্তু ৬৭, হারমানপ্রিত ৩১, প্রিয়া ৩০, ঝুলন ১/১৭, সালমা ১/২৫, হারলিন ১/৩৪)
ট্রেইলব্লেজারস ১৪৪-৫, ২০ ওভার (দীপ্তি ৪৩*, স্মৃতি ৩৩, ডটিন ২৭, দেওল ২৭, সেলমান ২/৩১, রাধা ২/৩০, অনুজা ১/১৮)
সুপারনোভাস ২ রানে জয়ী
সালমা খাতুনদের ফাইনাল নিশ্চিত হলো রানতাড়ার ৫.১ ওভারেই, এরপর লড়াই ছিল জাহানারা আলমদের দল ভেলোসিটি ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হারমানপ্রিত কৌরদের সুপারনোভাসের। সুপারনোভাস জিতলে ফাইনালে যাবে তারা, হারলে ভেলোসিটি। সে ম্যাচটা গেল শেষ বলে, যেখানে ট্রেইলব্লেজারসের জিততে, ভেলোসিটির ফাইনালে যেতে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। রাধা যাদব সে বলে খুব একটা রুম দিলেন না সোফি একলস্টোনকে, ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে সেটি মিস করলেন একলস্টোন। রোমাঞ্চ জাগানো আরেকটি ম্যাচে ২ রানের জয়ে আবারও ফাইনালে হারমানপ্রিতের দল। সালমা-জাহানারা দ্বৈরথটা ফাইনালে দেখা যাবে না, তবে প্রথমবার গিয়েই ফাইনালে খেলবেন সালমা, যেটি গতবার খেলেছিলেন জাহানারা।
১৪৭ রানতাড়ায় শেষ ৫ ওভারে ৫৬ রান প্রয়োজন ছিল ট্রেইলব্লেজারসের, তবে দীপ্তি শর্মা ও হারলিন দেওল তাদেরকে নিয়ে গেলেন খুব কাছে। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে আউট হওয়ার আগে দেওল করেছেন ১৫ বলে ২৭। আরেকপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে শুধু দীপ্তিকে, যিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪০ বলে ৪৩ রানে।
দেওল-দীপ্তির আগে রানতাড়ায় ট্রেইলব্লেজারসকে ভাল একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও স্মৃতি মান্ধানা। পাওয়ারপ্লেতে দুজন মিলে তুলেছিলেন ৪৩ রান। ১৫ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রান করে সাকেরা সেলমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে ডটিনকে, যদিও রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে পারতেন তিনি। আরেকদিকে স্মৃতি শুরুতে ছিলেন বেশ ধীরগতির, দুইবার জীবন পাওয়ার পর পরের দিকে গিয়ে সেটি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সিরিবর্ধনেকে একটা ছয়ও মারলেন, তবে অনুজা পাতিলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ৪০ বলে ৩৩ রান করে।
পুনম যাদব, হারমানপ্রিত নিজে না এসে শেষ ওভার দিয়েছিলেন রাধাকে, শেষ বলের পর রাধার উল্লাসই বলে দিচ্ছিল সব। সব মিলিয়ে ৭ জন বোলার ব্যবহার করেছেন হারমানপ্রিত, পুনমকে করিয়েছেন মাত্র একটি ওভার। ফিল্ডিংয়ে শুরুর দিকে পিচ্ছিল ছিল সুপারনোভাস, তবে শেষ হাসি তাদেরই।
এর আগে প্রথম ইনিংসে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন চামারি আতাপাত্তু। ৪৮ বলে করেছেন ৬৭ রান, ৫ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছয়। তার দারুণ টাইমিং আর পাওয়ার-হিটিংয়ে একসময় দর্শক হয়ে পড়েছিলেন ট্রেইলব্লেজারস বোলাররা। প্রিয়া পুনিয়ার সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি ছিল ৮৯ রানের।
সে জুটি ভেঙেছেন সালমা। তার দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে গিয়ে ডিপ মিডউইকেট থেকে বাঁয়ে ছুটে আসা দীপ্তির হাতে ধরা পড়েছিলেন ৩৭ বলে ৩০ রান করা পুনিয়া। প্রথম ৩ ওভারে সালমা দিয়েছিলেন মাত্র ১১ রান, সে সময় সুপারনোভাসের রানের চাকা আটকে দিতে পেরেছিলেন তারা।
১৭তম ওভারে গিয়ে দেওলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন আতাপাত্তু। এরপর জেমি রদ্রিগজ ফিরেছেন দ্বিতীয় বলেই, এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট ভুলে যাওয়ার মতোই হয়ে থাকলো গতবারের সেরা ক্রিকেটারের। শেষ ওভারে গিয়ে হয়েছে তিন রান-আউট, তবে হারমানপ্রিতের ২৯ বলে ৩১ রানে ভাল একটা সংগ্রহই পেয়েছিলেন তারা।
শেষ পর্যন্ত যেটিই যথেষ্ট হয়েছে সূক্ষ্ণ ব্যবধানে। সোমবার একই ভেন্যুতে হবে ফাইনাল।