• বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০
  • " />

     

    অনুশীলনে মাশরাফি, আপাতত লক্ষ্য 'ফিট হয়ে ওঠা'

    অনুশীলনে মাশরাফি, আপাতত লক্ষ্য 'ফিট হয়ে ওঠা'    

    অনুশীলনে ফিরেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শুরুতে প্লেয়ারস ড্রাফটে না থাকলেও টুর্নামেন্টের মাঝপথে ব্যক্তিগতভাবে শের-ই-বাংলার একাডেমি মাঠে আলাদা করে বোলিং ও রানিং করেছেন তিনি। তবে এ টুর্নামেন্টে খেলবেন কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত হয়নি। 

    টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দলের কেউ চোট বা এমন কারণে ছিটকে গেলেই শুধু অন্য কাউকে নেওয়া যাবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চোটে পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তবে তিনি ৬ বা ৮ ডিসেম্বরের ম্যাচ থেকে খেলতে পারেন বলে জানিয়েছেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কোচ সারওয়ার ইমরান। চোটে পড়ে টুর্নামেন্ট কার্যত শেষ হয়ে গেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামে খেলা বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের, তার আঙুলে অস্ত্রোপচার লাগবে। ফলে সেখানে একটা অপশন আছে মাশরাফির। 

    এমনিতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ হচ্ছে বায়ো-সিকিউর বলয়ে থেকে। মাশরাফি যখন একাডেমি মাঠে আসেন, তখন অনুশীলনে ছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও ফরচুন বরিশাল। তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন মাশরাফি, কথাও বলেছেন দূরে থেকেই। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়ে এসেছিলেন তিনি, জানা গেছে এমন। অবশ্য বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি বলেছেন, ভুল করে একাডেমিতে চলে এসেছিলেন তিনি, এবং এজন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।

    “আসলে এটা অনিচ্ছাকৃত একটা ভুল ছিল তার, এবং সে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। সে যাতে এমন ভুল না করে, সেটি নিশ্চিত করব আমরা”, ক্রিকবাজকে বলেছেন দেবাশীষ। “তবে সে ক্রিকেটারদের কাছে যায়নি, এবং ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখেছিল। সেটা বিবেচনা করলে সে কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে বলে মনে হয় না। আসলে তার ইনডোরে একা অনুশীলন করার কথা ছিল, তবে সে এটা বুঝতে ভুল করেছে, এবং একাডেমিতে চলে এসেছে।” 

    গত জুনে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন মাশরাফি, সেখান থেকে সেরেও উঠেছেন। তবে এরপর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ারস ড্রাফটে ছিলেন না তিনি, এর আগে খেলেননি বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেও। 
     


    তবে এদিন প্রথম এমন অনুশীলনের পর কবে ম্যাচ খেলার মতো ফিট হয়ে উঠতে পারবেন তিনি, সেটি নিশ্চিত নয়। আপাতত তিনি ওজন কমিয়ে ‘একটা অবস্থায়’ আসতে চান বলে জানিয়েছেন এদিন তাকে সহায়তা করা বিসিবির ট্রেইনার তুষার কান্তি হাওলাদার, “আসলে ও ওর মত করে অনুশীলন করেছে করোনা পরবর্তী (পরিস্থিতিতে)। এখন ও ওজন কমিয়ে একটা অবস্থায় আসতে চায়। এ ব্যাপারে আমি সাহায্য করছি। ম্যাচ ফিটনেসের ব্যাপারে বলার মত সময় আসেনি। ও এমনিতে বোলিং করেছে।”

    “যেভাবে অনুশীলন করছে, অবশ্যই সে ফিট হয়ে ফিরতে পারবে। টেকনিক নিয়ে তো তার তেমন কোনো সমস্যা নাই, সমস্যাটা ফিটনেসে। এখনও সে ফিজিক্যাল কোনো টেস্ট দেয়নি। ও কোভিড কাটিয়ে আসছে তাই ওর ব্যাপারে বলাটা কঠিন। 

    “৪ ওভার বোলিং করেছে ফুল রান-আপে। ওর ইচ্ছের উপরই। ও চেয়েছে তাই আমরা সহায়তা করছি। ফিটনেসের ব্যাপারটা আসলে, এটা ওর ব্যাপার। ও অন্যরকম, ও মাশরাফি, অনেক কিছুই করতে পারে। এখন ওর সিদ্ধান্ত, ও খেলতে চাইলে খেলবে। ৪ ওভার বোলিংয়ের একটা ব্যাপার। এই কম ওভার যদি ও ম্যানেজ করতে পারে ম্যাচ ফিটনেস দিয়ে, এটা আসলে ওর ব্যাপার।”

    গত মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন মাশরাফি। ২০০৯ সালের পর টেস্ট খেলেননি, টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসর নিয়েছেন আগেই। তবে অবসর-প্রসঙ্গে বরাবরই মাশরাফি বলে এসেছেন, তিনি খেলা চালিয়ে যেতে চান, জাতীয় দলে খেলা তার হাতে নেই বলে সেটি নিয়ে ভাবতেও চান না। এ বছরের শুরুতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি।