• আফগানিস্তানের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    লিটনের ৮৬ রানের পর ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ থেমেছে ১৯২ রানে

    লিটনের ৮৬ রানের পর ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ থেমেছে ১৯২ রানে    

    ৩য় ওয়ানডে, চট্টগ্রাম (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ- ১৯২, ৪৬.৫ ওভার (লিটন ৮৬, সাকিব ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৯*, রশিদ ৩/৩৭, নবী ২/২৯, ওমরজাই ১/২৯)

     

    টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস যেন এগুচ্ছিল একেবারে দ্বিতীয় ম্যাচের মতই। শুরুতেই ফাজালহক ফারুকীর সুইং আদায়, তামিম ইকবাল-লিটন দাসের দেখেশুনে খেলা, ফারুকীর তাইম বোধ, উইকেটে সাকিবের এলোমেলো শুরু, অতঃপর গুছিয়ে ওঠার আগেই বিদায়। সবকটাই হল এই ম্যাচে। লিটনের সাথে ৫০ রানের জুটি গড়ে এদিন যখন নিজের ব্যাটিং ভাগ্য পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছিলেন সাকিব তখনই আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের নিরীহ এক বলে স্টাম্প খুইয়ে ৩০ রানে ফেরেন তিনি। লিটন অবশ্য এই ম্যাচেও ঠিকই এক প্রান্ত আগলে রাখলেন।

    তবে এরপরের পুরোটায় আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। ৪০০০ আন্তর্জাতিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করার পরে ৬৩ বলে ফিফটিও তুলে নেন লিটন। অন্য প্রান্তে যেভাবে উইকেট আসাযাওয়ার মিছিল শুরু হয়েছিল তাতে মনে হচ্ছিল লিটন যেন অন্য উইকেটে ব্যাট করছেন। রশিদ খানের দারুণ এক লেগ ব্রেকে উইকেটের পিছে লাচ দিয়ে মাত্র ৭ রানেই ফেরেন আগের দিন দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিম। অভিষেক সিরিজের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে সেই রশিদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ইয়াসির আলীও ফেরেন দুই অঙ্ক স্পর্শ করার আগেই।

    এরপরে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আরও এক সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। তবে মোহাম্মদ নবীর বলে হঠাৎই বোধবুদ্ধি লোপ পেলো বোধহয় তার। পরিস্থিতি তখন এমন না যে বাউন্ডারি বের করতেই হবে। তবে তাই করতে গিয়ে লং অনে গুলবদিন নাইবের দারুণ এক ক্যাচে লিটন ফিরলেন ৮৬ রানে। ধসের শুরু সেখান থেকেই। আফিফ হোসেন এরপর ফিরলেন নবীর কাছেই; মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরলেন ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে। এসবের মাঝেও চোখে পড়েছে মাহমুদউল্লাহর অদ্ভুতুড়ে ইনিংস। মিরাজের রান আউটের দায়ভার তাকে নিতে হবে। সেই সাথে শুরুতে খেলেছেন প্রচুর ডট বল। শেষে উইকেট যেতে থাকলেও দেখাননি গিয়ার পাল্টানোর কোনও মনোবাসনা, চেষ্টা যা একটু করেছেন তাতে ব্যাটে-বলে একেবারেই হয়নি। ভুল বুঝাবুঝিতে এরপর রান আউট হয়ে ফিরেছেন শরিফুল; রান আউট হয়েই ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। যদিও তাতে রহমানউল্লাহ গুরবাজের কৃতিত্ব বেশি। মাহমুদউল্লাহ তাই ২৯ রানে অপরাজিত থাকলেও একসময় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ১২১/২ বললেও ইনিংস সমাপ্ত হয় ১৯২ রানে।