• পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    পাকিস্তানে অস্ট্রেলিয়া: পুরনো লড়াই নতুন মোড়কে

    পাকিস্তানে অস্ট্রেলিয়া: পুরনো লড়াই নতুন মোড়কে    

    অস্ট্রেলিয়ার পাকিস্তান সফর

    ১ম টেস্ট

    কবে কখন

    ৪ মার্চ- ৮মার্চ, ২০২২

    সকাল ১১.০০টা

     

    দুই যুগ পর পাকিস্তানের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। এই সিরিজের নামকরণও হয়েছে দুই দেশের দুই কিংবদন্তি লেগ স্পিনার রিচি বেনো ও আব্দুল কাদিরের নামে। বেনো-কাদির ট্রফি নাম নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক এই টেস্ট সিরিজ। 

    সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে ফিরেছিল মার্ক টেলরের দল। এবার প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে পূর্ণশক্তির স্কোয়াড নিয়েই পাকিস্তানে অস্ট্রেলিয়া। কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া কেমন করবে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দল? তাদের আটকাতে কী ছক আঁকছে পাকিস্তান?  

    উপমহাদেশে খেলার সুবাদে পাকিস্তানের উইকেট, কন্ডিশন নিয়ে কিছুটা হলেও ধারণা আছে তাদের। এছাড়া আরব আমিরাতে গত ৮ বছরে দুইবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে অজিরা। 

    স্কোয়াডে থাকা মার্নাস লাবুশেন, ট্রাভিস হেডের এশিয়ায় আছে এক টেস্টের অভিজ্ঞতা। ক্যামেরন গ্রিন আর মার্কাস হ্যারিস তো এশিয়াতে কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচই খেলেননি। পাকিস্তানের পরিবেশ তাদের একেবারেই অজানা, তাই প্রস্তুতিতেও ঘাটতি রাখছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। পাকিস্তানকে নিয়ে হোমওয়ার্কটা ভালোই এগিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। 

    নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি বলেছেন, পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তারা বেশ ঘাটাঘাটি করছেন। পাকিস্তানে যারা খেলেছেন তাদের কাছ থেকেও যতটা সম্ভব পরামর্শও নিচ্ছেন। মার্নাস লাবুশেন তো পাকিস্তানের স্পিনিং উইকেটের কথা মাথায় রেখে নিজের ঘরেই অনন্য এক অনুশীলন সেরেছেন। 

    প্রথম টেস্টের উইকেটে সেভাবে স্পিন ধরবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে রাওয়ালপিন্ডির শেষ কয়টা ম্যাচে চোখ বুলালে দেখা যায় পেসারারাই এগিয়ে ছিলেন। অজিরা চাইলে আরো একটু স্বস্তি খুঁজতে পারেন পাকিস্তানের স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে। গত ৩ বছরে ঘরের মাঠের টেস্টে পেসাররাই এগিয়ে। পেসাররা নিয়েছেন ২৯.১ গড়ে ৮৯ উইকেট। ৩৯.৪১ গড়ে স্পিনারদের দখলে গেছে ৪৮ উইকেট। এছাড়া গত ৩ যুগেও ঘরের মাঠের টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিতে পারেননি কোনো পাকিস্তানি স্পিনার।  

    সাধারণত ম্যাচের আগেরদিনই সেরা একাদশ ঘোষণা করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। অধিনায়ক কামিন্স জানিয়েছেন, টসের আগে উইকেট দেখেই তারা সেরা একাদশ ঘোষণা করবেন। আরো জানিয়েছেন, তিন পেসারের সাথে একজন বা দুইজন স্পিনারের কম্বিনেশনে একাদশ সাজাতে পারেন তারা। 

    ওদিকে ইঞ্জুরিতে পড়ে স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন হাসান আলী ও ফাহিম আশরাফ। তাদের জায়গায় স্কোয়াডে ঢুকেছেন ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এদের মধ্যে ওয়াসিম জুনিয়রের হতে পারে টেস্ট অভিষেক।  এছাড়া কোভিড পজিটিভ হয়ে আইসোলেশনে আছেন হারিস রউফ। 

    ঐতিহাসিক এই টেস্টে পাকিস্তানের একাদশে দেখা যেতে পারে তিন পেসার। শাহীন শাহ আফ্রিদি, ওয়াসিম জুনিয়র ও নাসিম শাহ। অলরাউন্ডার ফাওয়াদ আলমও থাকবেন স্পিনার হিসেবে। পাকিস্তানের ম্যানেজমেন্ট বৈচিত্র্য চাইলে সাজিদ খানকেও অন্তর্ভূক্ত করতে পারে একাদশে। 

     

    রঙ্গমঞ্চ

    প্রথম টেস্টের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি। এই ভেন্যু নিয়ে খানিকটা আশাবাদী হতেই পারের অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই মাঠে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের পেসাররা মিলে নিয়েছিলেন ২৪ উইকেট। পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, পেস সহায়ক উইকেটেই হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক এই সিরিজের প্রথম টেস্ট। 

    এই মাঠের অতীত ইতিহাস পাকিস্তানকে আশার যোগান দিবে। ১১ টেস্টের ৫টি জিতেছে পাকিস্তান। সাথে আছে সমান ৩টি করে পরাজয় ও ড্র।  


    সম্ভাব্য একাদশ

    পাকিস্তান:  মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম (অধিনায়ক), শান মাসুদ, ফাওয়াদ আলম, আজহার আলী, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, জাহিদ মাহমুদ।

    অস্ট্রেলিয়া: ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, অ্যালেক্স ক্যারি, অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, জশ হ্যাজলউড, 

     

    সংখ্যার খেলা

    ৩৩

    পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৬ টেস্ট খেলে ৩৩টি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া

    ১৫

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান জিতেছে ১৫ টেস্ট। দুই দলের ড্র হওয়া ম্যাচের সংখ্যাও ১৫

    নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ বার হারিয়েছে পাকিস্তান।