• আইপিএল ২০২২
  • " />

     

    চেনা কলকাতাকে ত্রিপাঠির পাঠদানের পর মার্করামের ঝড়ে হায়দ্রাবাদের টানা তৃতীয় জয়

    চেনা কলকাতাকে ত্রিপাঠির পাঠদানের পর মার্করামের ঝড়ে হায়দ্রাবাদের টানা তৃতীয় জয়    

    হায়দ্রাবাদ-কলকাতা, মুম্বাই (টস-হায়দ্রাবাদ/ফিল্ডিং)
    কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৭৫/৮, ২০ ওভার (রানা ৫৪, রাসেল ৪৯*, শ্রেয়াস ২৮, নাটারাজান ৩/৩৭, মালিক ২/২৭, ইয়ানসেন ১/২৬)
    সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ- ১৭৬/৩, ১৭.৫ ওভার (ত্রিপাঠি ৭১, মার্করাম ৬৮, উইলিয়ামসন ১৭, রাসেল ২/২০, কামিন্স ১/৪০)
    ফলাফল: হায়দ্রাবাদ ৭ উইকেটে জয়ী

     

    টানা তিন হারে মৌসুম শুরু করা কেন উইলিয়ামসনের হায়দ্রাবাদ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেল টানা তৃতীয় জয়। টানা দুই ৮ উইকেটের জয়ের পর এবার মিল ৭ উইকেটের জয়। আর দুর্দান্ত সেই রানতাড়ায় এবার নেতৃত্ব দিলেন কলকাতার শিবিরেরই পুরনো মুখ রাহুল ত্রিপাঠি। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর এইডেন মার্করামের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসে কলকাতার বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গিয়েছে হায়দ্রাবাদ। আদর্শ পেস বোলিংয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা তরুণ গতি তারকা উমরান মালিকের সাথে উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষমতার আরও একবার প্রমাণ রাখা নাটারাজানের বোলিং জুটিরও এই জয়ে অবদান কম নয় তাই মোটেও।
     
    রানার গড়া ভিতে দাঁড়িয়ে রাসেলের ঝড়

    নিজের ৯ম ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে নামা অ্যারন ফিঞ্চ দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন মার্কো ইয়ানসেনের শিকার হয়ে, ৫ম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাটারাজান।  পাওয়ারপ্লেতে ৩৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে বসা কল্কাতাকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে শুরু করতে হয় প্রায় নতুন করেই, যেই শুরুটা এপর এন দেন নিতিশ রানা-শ্রেয়াস আইয়ার জুটি। উমরান মালিকের গতির কাছে হার মেনে ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস শেষে শ্রেয়াস যখন ফেরেন তখন ২২ গযে রীতিমত আগুন ঝরাচ্ছেন মালিক। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে তিনি ফেরান শেল্ডন জ্যাকসনকেও। সেসব প্রতিকুলতার মাঝেও টিকে থাকেন রানা; প্রয়োজনীয় বাউন্ডারিও বের করতে থাকেন। ৩২ বলে রানার ফিফটি পূর্ণ হলে অন্য প্রান্তে থাকা আন্দ্রে রাসেল এরপর নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন রানার কাছ থেকে। নাটারাজানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে যখন শেষ হয় রানার ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস তখন তাই খুব একটা বিচলিত হয়নি কলকাতা শিবির। শেষের ওই দুই ওভারের সদ্ব্যবহার করার জন্য যে উইকেটে তখন আছেন ইতোমধ্যেই হাত খুলে খেলতে শুরু করা রাসেল। ইনিংসের শেষ তিন বলে জাগদিশা সুচিথকে টানা দুই ছয়ের পর চার দিয়ে শেষ করে রাসেল অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪৯* রান করে।


    ঘরের শত্রু ত্রিপাঠি; মার্করামের ‘ফিনিশিং’

    আগের দুই ম্যাচের মত এদিন সফলতা পায়নি অভিষেক শর্মা-কেন উইলিয়ামসনের ওপেনিং জুটি। তবে সেটার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়তে দেননি কলকাতা শিবিরের পুরনো সৈনিক রাহুল ত্রিপাঠি। অরেজ আর্মির হয়ে লড়া ত্রিপাঠির তালুর উল্টো পিঠের মতই চেনা কলকাতা বোলারদের। শুরু থেকেই হাত খুলে ত্রিপাঠি গিয়ার পাল্টান বরুন চক্রবর্তীকে ১ চার ও ২ ছয়ে স্বাগত জানিয়ে। মাত্র ২১ বলে এবারের আসরের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি পান তিনি। অন্য প্রান্তে এইডেন মার্করাম তাই খেলতে থাকেন রয়েসয়েই। মার্করাম গিয়ার পালতান উমেশ যাদবের করা ১৪তম ওভারের শেষ তিন বলে টানা চার মেরে। পরের ওভারটাই ছয় মেরে শুরু করলেও ত্রিপাঠি থামেন পরের বলে; রাসেলের আঘাতে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭১ রানের ইনিংস দিয়ে সেই সাথে কলকাতা শিবিরে হয়ত বাজিয়ে তুলেছেন আক্ষেপের সুর। ত্রিপাঠির বিদায়ের পর মার্করামও ধারণ করেন রুদ্রমূর্তি। ৩১ বলে এই মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করার পরের ওভারেই প্যাট কামিন্সকে ১ চার ও ২ ছয় মেরে টানেন দারুণ এক রানতাড়ায় তুলির শেষ আঁচড়।