• পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর, ২০১৬
  • " />

     

    পাকিস্তানের উদযাপনে 'আহত' কুক

    পাকিস্তানের উদযাপনে 'আহত' কুক    

    ক্রিকেটতীর্থে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট জয়, সেটাও আবার পাক্কা কুড়ি বছর পর! পাকিস্তানের আনন্দ বাঁধ না ভাঙলেই বরং অস্বাভাবিক হতো। সদ্য শেষ হওয়া টেস্টেই প্রথমবারের মতো লর্ডসে নেমেছিলেন ক্যাপ্টেন মিসবাহ-উল-হক। ‘বুড়ো’ ভদ্রলোক লর্ডস-অভিষেকেই শতক হাঁকালেন, অনার্স বোর্ডে নাম তুললেন। এরপর? যাদের হাতে ঘষামাজা হয়ে এমন ‘ভেলকি’, স্বদেশের সেই সেনা সদস্যদের সম্মানে মাঠেই দিয়ে ফেললেন ক’টা বুক ডন। ম্যাচ জিতে গিয়ে পুরো পাকিস্তান দলই সার বেঁধে প্রতীকী ‘সেনা প্রশিক্ষণ’-এ মজে গেলো!

     

     

    বলা বাহুল্য, এমন পরাজয়ের পর প্রতিপক্ষের এহেন উদযাপন ভালো লাগার কথা নয়। অ্যালিস্টার কুকের যে তা লাগেও নি, ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন। সঙ্গে এ-ও বলছেন, ব্যাপারটা তাঁরা পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবার জন্য ‘তাড়না’ হিসেবেই নেবেন।

     

    ম্যাচ শেষে ইংলিশ ক্যাপ্টেনের সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবেই এলো প্রসঙ্গটা, “আমি ব্যাপারটাকে উস্কানি হিসেবে দেখছি না। তবে মাত্রই একটা ম্যাচ হারার পর এসব দেখতে অবশ্যই ভালো লাগার কথা না। তাঁরা যা ইচ্ছা করতে পারে, এটা তাঁদের ঐক্যেরও প্রকাশ হতে পারে। তবে ক্রিকেটের ঈশ্বররা...“

     

     

    বাক্যটা শেষ করেন নি কুক। হয়তো মিসবাহদের জবাব দিতে অদৃষ্টের সাহায্যই চাইলেন! কুকের আগেই অবশ্য ইংলিশ সাবেক এক ক্রিকেটার টুইটারে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানিদের, “বুমেরাং হয়ে যেতে পারে কিন্তু। ‘কর্মা’ বলে একটা ব্যাপার তো আছে...।”

     

    ‘কর্মা’ যে আছে সেটা টিম ব্রেসনানরা হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছিলেন। ২০১০-১১ মৌসুমে মেলবোর্নে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করে নাচ ‘পরিবেশন’ করেছিল ইংল্যান্ড দল, তিন বছর বাদে সেই অস্ট্রেলিয়া থেকেই ফিরতে হয়েছিল ‘হোয়াইট ওয়াশ’ হয়ে। ওই দলে তো কুকও ছিলেন। ইংলিশ ক্যাপ্টেন কি এবার তেমন কিছুর আশাতেই আছেন?