• শ্রীলংকা - ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    টি-টোয়েন্টিতেও নিষ্প্রভ শ্রীলংকা

    টি-টোয়েন্টিতেও নিষ্প্রভ শ্রীলংকা    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ শ্রীলংকা ১৪০/১০, ২০ ওভার (গুনাথিলাকা ২৬, চান্দিমাল ২৩; ডসন ৩/২৭, জর্ডান ৩/২৯); ইংল্যান্ড ১৪৪/২, ১৭.৩ ওভার (বাটলার ৭৩*, মরগ্যান ৪৭*; ম্যাথিউস ২/২৭)

     

    ফলঃ শ্রীলংকা ৮ উইকেটে জয়ী।

     

    ম্যাচসেরাঃ জস বাটলার (ইংল্যান্ড)

     

    দু’ বছর কি খুব বেশী সময়? ক্রিকেটে হয়তো! ২০১৪ সালে যে শ্রীলংকা তিন ফরম্যাটেই হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে, দু’ বছরের ব্যবধানে তাঁরাই হেরে বসলো সব সংস্করণে। টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজের পর একমাত্র টি-টোয়েন্টিও ইংলিশরা জিতে নিয়েছে ৮ উইকেটে। ২০১২ সালের পর আবারও ঘরের মাঠের 'সামার'-এ অজেয় থাকার স্বাদ পেলো ইংল্যান্ড।

     

     

    টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরুর পরও ব্যাট হাতে সেভাবে দাঁড়াতে পারেন নি লংকান ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডের নতুন বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন আন্তর্জাতিক অভিষেকেই কাঁপিয়ে দিয়েছেন, ফিরিয়েছেন অধিনায়ক ম্যাথিউসসহ শ্রীলংকার টপ অর্ডারের তিনজনকে। ক্রিস জর্ডান, লিয়াম প্লাংকেটরাও উইকেট শিকারে যোগ দিলে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৪০ রান তুলতেই অল আউট হয়ে যায় শ্রীলংকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ওপেনার দানুশ গুনাথিলাকা।

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই জেসন রয়ের উইকেটটি হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেয়া অধিনায়ক ম্যাথিউস পঞ্চম ওভারে আবারও আঘাত হানেন, এ যাত্রায় জেমস ভিন্সকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন চান্দিমাল। এ পর্যন্ত খেলা দেখে যারা রোমাঞ্চকর কিছুর প্রত্যাশা করছিলেন, তাঁদের অবশ্য হতাশ হতে খুব বেশী সময় লাগে নি। বাটলার-মরগ্যান জুটি এরপর অবিচ্ছিন্ন থেকেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন, ১৫ বল হাতে রেখে। অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হন বাটলার। ৩ রানের জন্য অর্ধশতকটা হয় নি মরগ্যানের।