• " />

     

    ফিরে আসে সেই 'সংঘর্ষের' স্মৃতি!

    ফিরে আসে সেই 'সংঘর্ষের' স্মৃতি!    

    মর্নিং, আফটারনুন, ইভনিং- তিন সেশনে গড়া টেস্টের দিন। কিন্তু এসব সেশনের আগেও, টেস্ট শুরুর আগে থাকে কতো কতো নেট সেশন! টেস্ট শুরুর আগে সেই টেস্ট ম্যাচকে নিয়েই প্যাভিলিয়নের 'নেট সেশন'! 


    সেই ‘সংঘর্ষ’, শ্রীলঙ্কার সেই জয়!

     

    পাহাড়ের বুক চিড়ে হঠাতই যেন উদয় হলো কালচে সবুজ রঙয়ের যন্ত্রদাবনবটা। ক্যান্ডির অ্যাসজিরিয়া স্টেডিয়ামের মাঠের পেছন দিয়ে এসে নামলো সেই হেলিকপ্টার, ক্ষণিক পরেই উড়াল দিল কলম্বোর উদ্দ্যেশ্যে। সঙ্গে গেলেন স্টিভ ওয়াহ, ভাঙ্গা নাক, আর জ্যাসন গিলেস্পি, ভাঙ্গা পা নিয়ে। সঙ্গে গেল অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে ফেরা আশাও। ১৮৮ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া তখন চাপে, ১৩৯ রানে ৩ উইকেট যখন শ্রীলঙ্কার স্কোর। অরবিন্দ ডি সিলভা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে তখন চোখ রাঙ্গাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়ার হুমকি দিয়ে। সেই তাঁরাই তৃতীয় রানটা নিলেন না, যখন দেখলেন বল ভুলে অস্ট্রেলিয়ানরা ছুটছেন তাঁদের দুই সতীর্থের দিকে। একটু আগেই সংঘর্ষ বাঁধিয়ে পড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আর এক ফাস্ট বোলার! ওয়াহ বা গিলেস্পির সেই টেস্টে আর ফেরা হয়নি, গিলেস্পি তো মিস করেছিলেন পুরো অস্ট্রেলিয়ান মৌসুমই! অস্ট্রেলিয়াও ফিরতে পারেনি সেই ম্যাচে। ছয় উইকেটে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জেতা একমাত্র টেস্ট শ্রীলঙ্কার! পরের দুই টেস্ট বৃষ্টি যেন এনেছিল লঙ্কানদের জয়বার্তা, দুই টেস্টই হয়েছিল ড্র। শ্রীলঙ্কা জিতেছিল সিরিজ, এখন পর্যন্ত একমাত্র তো বটেই! ওই সিরিজেরই দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হয়েছিল রঙ্গনা হেরাথের।

     


     

    লড়াই ঘূর্ণির

     

    খুব বেশীদিন নয়, অ্যাডিলেড ওভালের গ্রাউন্ডসম্যান ছিলেন ন্যাথান লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার শেষ শ্রীলঙ্কা সফরে সেই লায়নেরই হয়েছিল অভিষেক। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই নিয়েছিলেন কুমার সাংগাকারার উইকেট, অস্ট্রেলিয়ানদের ওয়ার্ন-পরবর্তী-স্পিনার-হাহাকার এর শেষের শুরুটা যেন হয়েছিল তখনই। ১৯৫ উইকেট নিয়ে তিনিই অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সেরা অফস্পিনার।

    আর গত পাঁচ বছরে রঙ্গনা হেরাথের থেকে বেশী ইনিংসে ৫ (১৯বার) বা টেস্টে ১০ উইকেট(৫বার) নেননি আর কোনো বোলার। স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে এই সময়ে সবচেয়ে বেশী ৭বার ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস ধরে রাখা বা শ্রীলঙ্কার ইতিহাস বদলানোর মিশনে অনেকখানি দায়িত্ব তো এই দুই স্পিনারের ওপরই! সঙ্গে অজিদের আবার আছে স্টিভ ও’কিফি। প্রস্তুতি ম্যাচে যিনি নিয়েছেন ১০ উইকেট!


     

    শ্রীলঙ্কার জয়খরা

     

    এ বছর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে যে কোনো ফরম্যাটে একটিই জয় শ্রীলঙ্কার। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সঙ্গে লঙ্কানরা জিতেছিল সে ম্যাচ। গত পাঁচ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া যেখানে হারেনি একটিও, শ্রীলঙ্কা হেরেছে চারটিতেই! মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে চোট, প্রথম সারির পেসারদের মধ্যে এক নুয়ান প্রদীপ ছাড়া কাউকেই পাচ্ছেন না পাশে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। উল্টো চিত্র অজি শিবিরে, এখানেও। চোট কাটিয়ে এ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মিচেল স্টার্ক।


     

    ওয়ার্ন-মুরালি ট্রফি

    প্রথম টেস্ট

    পাল্লাকেল্লে

    বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.০০