• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
  • " />

     

    অনুশীলনে লেগে গিয়েছে ওয়াহাব-ইয়াসিরের

    অনুশীলনে লেগে গিয়েছে ওয়াহাব-ইয়াসিরের    

    অনুশীলনে ফুটবল ম্যাচ খেলছিল পাকিস্তান দল। হঠাৎ করেই একটা ট্যাকল করতে গিয়ে লেগে গেল ওয়াহাব রিয়াজ ও ইয়াসির শাহর। অনুশীলনে এরকম এক আধটু ঠোকাঠুকি তো হয়ই। তবে দুজনের ব্যাপারটা গড়াল উত্তপ্ত কথাকাটাকাটি থেকে প্রায় হাতাহাতি পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার এসে নিরস্ত করেছেন তাঁদের। পরে অবশ্য পাকিস্তান দল থেকে দাবি করা হয়েছে, ব্যাপারটা গুরুতর কিছু নয়। দুজনের মধ্যে ঘটনাটা ওখানেই চুকেবুকে গেছে।

    ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের দিবারাত্রির টেস্ট শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। তার আগেই অনুশীলনে এরকম একটা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি হলো। তবে পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার আমজার হোসেন ভাট্টি ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, ব্যাপারটা খুব বেশিদুর গড়ায়নি, “আসলে ফুটবল খেলার একটা মুহূর্তে ওই ঘটনা হয়েছিল। এটা সাময়িক উত্তেজনাবশত হয়ে গেছে। দুজনকেই সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনেই এরপর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে, একে অন্যের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে। তারা দুজনেই বুঝতে পেরেছে ওই ঘটনা চাইলেই এড়ানো যেত।”

    ক্রিকইনফো জানিয়েছে, দুজনের কাউকে হয়তো শেষ পর্যন্ত জরিমানা বা অন্য কোনো শাস্তি পেতে হবে না। ভাট্টি জানিয়েছে, দলের ওপরও ঘটনাটা তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না, “এটা দলের সংহতিতে কোনো ছাপ ফেলবে না। ওরকম গুরুতর কিছু আসলে হয়নি। ” পরে ওয়াহাব-রিয়াজ দুজনেই একটা ভিডিওতে হাসিমুখে এসেছেন। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন, দুজনেই বেশ “ভালো বন্ধু।”

     

                                 ভিডিওতে ইয়াসির শাহ ও ওয়াহাব রিয়াজ দাবি করেছেন, ব্যাপারটা চুকেবুকে গেছে 

    তবে পাকিস্তান দলে এ ধরনের “গৃহযুদ্ধ” নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় ইউনিস খান ও ইনজামাম উল হকের মধ্যে বেশ ঠোকাঠুকি হয়ে গিয়েছিল। সেটাও হয়েছিল ফুটবল খেলতে গিয়েই। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটা হয়েছিল ২০০৭ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওই ঘটনায় সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেছিলেন শোয়েব আখতার।