• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
  • " />

     

    স্টার্ক-হ্যাজলউডে দিশেহারা পাকিস্তান

    স্টার্ক-হ্যাজলউডে দিশেহারা পাকিস্তান    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    অস্ট্রেলিয়া ৪২৯ অল আউট (স্মিথ ১৩০, হ্যান্ডসকম্ব ১০৫, রেনশ ৭১, রিয়াজ ৪/৮৯, আমির ৪/৯৭, ইয়াসির ২/১২৯ )

    পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৯৭, ৪৩ ওভার (সরফারাজ ৩১*, সামি ২২, বাবর ১৯, হ্যাজলউড ৩/১৯, স্টার্ক ৩/৪৫, বার্ড ২/৭ )


    নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুই টেস্টেই একরকম আত্মসমর্পণ করেছিল। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও পাকিস্তানের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতোই। গ্যাবায় দ্বিতীয় দিনেই স্মিথরা অনেকটাই এগিয়ে গেছেন, গত কিছু দিনের দুঃস্মৃতি একটু একটু করে আড়ালে চলে যাচ্ছে।  

    প্রথম দিনে ১১০ রানে অপরাজিত থেকে দিনটা শেষ করেছিলেন, কিন্তু আজ আর সেই ইনিংসে খুব বেশি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। ব্যক্তিগত ১৩০ রানে ওয়াহাব রিয়াজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজি অধিনায়ক। তার আগে অবশ্য চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৫০ রান করে ফেলেছেন হ্যান্ডসকম্বকে সাথে নিয়ে। এরপরের ঘণ্টাটা রিয়াজ-আমিরের। ৮ ওভারে মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে একে একে আউট করেন ম্যাডিনসন, ওয়েড এবং স্টার্ককে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই প্রথম শতক তুলে নেন ২৫ বছরের হ্যান্ডসকম্ব। চা বিরতির পর অবশ্য হ্যান্ডসকম্ব ও সঙ্গী হ্যাজলউড দুজনই আউট হয়ে গেলেও নায়ন ও বার্ডের ৪৯ রানের শেষ উইকেট জুটিতে ভর করে ৪২৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

    ব্যাট করতে নেমে ৬ রানেই আজহার আলীকে হারায় পাকিস্তান। তবে সামি ও বাবর ভালোই খেলছিলেন অজি পেস ব্যাটারিকে। বাবরকে দলীয় ৪৩ রানে স্মিথের তালুবন্দী করেন হ্যাজলউড। ওখানেই পতনের শুরু। পরের বলেই ফিরে যান ইউনিস খান। এ নিয়ে সর্বশেষ খেলা ৬ ইনিংসে পাকিস্তানি মিডল অর্ডারের স্তম্ভের মোট সংগ্রহ মাত্র ১৬ রান!

     

     

    ৪৩/১ থেকে মাত্র ১৫ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৬৭/৮। স্টার্ক-হ্যাজলউড-বার্ডের ত্রিমুখী আক্রমণে দিশেহারা মিসবাহ বাহিনী ২৪ রানে হারায় ৭ উইকেট। সর্বশেষ তৃতীয় থেকে অষ্টম উইকেট জুটিতে পাকিস্তান এত কম রান করেছিল ৩৫ বছর আগে, ১৯৮১-৮২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই। নবম উইকেট জুটিতে অবশ্য কিছুটা আক্রমনাত্নক ভঙ্গিতে খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন সরফরাজ খান। আমিরকে সাথে নিয়ে এই জুটিতে যোগ করেছেন ৩০ রান। ৩ চার নিয়ে দিনশেষে তিনি অপরাজিত আছেন ৩১ রানে, আমিরের সংগ্রহ ৮ রান। স্টার্ক ও হ্যাজলউড নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।