ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ স্মিথদের হাতেই
স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ৪৩৯, ২০২/৫ ডিক্লে ( খাজা ৭৪, স্মিথ ৬৩ , রাহাত আলী ২/৪০)
পাকিস্তান ১৪২, ৭০/২ (আজহার আলী ৪১, লায়ন ১/১৩)
বরাবরই আক্রমণাত্মক অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন স্টিভ স্মিথ। এবারো সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। দুইদিনের বেশি সময় বাকি থাকতেই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করার সাহস দেখিয়েছেন তিনি। নিজের এই সিদ্ধান্তে অনেকটাই সফল অজি অধিনায়ক। দিনশেষে ম্যাচের পরিস্থিতি কিন্তু একেবারেই পাকিস্তানের অনুকূলে নেই। চতুর্থ দিনে ম্যাচ বাঁচাতে হলে দারুণ ধৈর্যের পরীক্ষাই দিতে হবে তাদের।
আজ সকালে পাকিস্তানের লেজটা গুটিয়ে ফেলতে খুব বেশি একটা হ্যাপা পোহাতে হয়নি অজিদের। সরফররাজ আহমেদ এবং মোহাম্মদ আমির দলকে ১০০ রান পার করালেও বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। শেষ দুই উইকেটে মিসবাহর দল উঠিয়েছে ৭৫ রান, অস্ট্রেলিয়াতে যা ২য় সর্বোচ্চ। তাদের ফলো-অন না করিয়ে স্মিথ আবারো ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
২৮৭ রানের লিড নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর দলের হাল ধরেন স্মিথ-খাজা জুটি। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান স্মিথ এবারো দুর্দান্ত খেলেছেন। সেঞ্চুরি না পেলেও তাঁর ৬৩ রানের সুবাদে দলের লিড তরতর করে বেড়ে যায়। এই নিয়ে ৭ম বারের মতো একই টেস্টে সেঞ্চুরি এবং হাফ সেঞ্চুরি করলেন স্মিথ। তাঁর চেয়ে বেশিবার এই কীর্তি করেছেন জ্যাক ক্যালিস( ১১বার), রিকি পন্টিং( ১০), অ্যালেন বোর্ডার(৯) এবং কুমার সাঙ্গাকারার(৯)। অপর প্রান্তে ৭৪ রান করে খাজাও ভালো সঙ্গ দিয়েছেন স্মিথকে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা পিটার হ্যান্ডসকম্ব ঝড়ো ইনিংস খেললে বড় লিড পায় অজিরা।
‘ডিনার বিরতির’ সময় হুট করেই খবর আসে, ৫ উইকেট হাতে রেখেই অজিরা ইনিংস ঘোষণা করেছে! গতদিনের মতো আজও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের কৃত্তিম আলোর নিয়ে নাকানি চোবানি খাওয়ানর জন্যই এই সিদ্ধান্ত, সেটা হয়তো অনেকে ধাচ করতে পারছিলেন। ৪৯০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু স্টার্কের বলে সামি আসলাম ফেরার পর থেকেই রানের গতি স্লথ হয়ে আসে।
কিছুতেই যেন প্রান্ত বদল করতে পারছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। খোলসে ঢুঁকে যাওয়া বাবর আজমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন শুধু আজহার আলী। জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন চারশর বেশি রান। ম্যাচে ফিরতে চাইলে দারুণ কিছুই করে দেখাতে হবে পাকিস্তানি মিডল অর্ডারকে।