• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
  • " />

     

    ইতিহাস গড়া হলো না পাকিস্তানের

    ইতিহাস গড়া হলো না পাকিস্তানের    

    স্কোর

    অস্ট্রেলিয়া ৪২৯, ২০২/৫ ডিক্লে

    পাকিস্তান ১৪২, ৪৫০( শফিক ১৩৭, স্টার্ক ৪/১১৯)

    ফলাফল- অস্ট্রেলিয়া ৩৯ রানে জয়ী

    মান অফ দা ম্যাচ- আসাদ শফিক


     

    স্লিপ থেকে থ্রো করেই জয়োৎসব শুরু করে দিলেন স্মিথ। সেই উল্লাসে আনন্দের চেয়ে স্বস্তিটাই হয়তো বেশি ছিল! চরম নাটকীয় ম্যাচের শেষটা এরকম হবে সেটা হয়তো খোদ স্মিথও ভাবেননি। আসাদ শফিকের অসাধারণ প্রতিরোধের পরেও ৩৯ রানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে অস্ট্রেলিয়া। কতটা চিন্তিত ছিলেন স্মিথ, সেটা ম্যাচশেষে তাঁর কথা শুনেই বোঝা গিয়েছে। আঙ্গুলের একটি নখও নাকি বাকি নেই তাঁর, সব নাকি চিন্তায় দাঁত দিয়ে কেটে ফেলেছেন!

     

    চিন্তিত কেনই বা হবেন না! পুরো ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে শেষ এসে এরকম হার তো মেনে নেয়া সহজ হতো না। পাকিস্তানের লেজের দৃঢ়তায় আজ সকালে কিন্তু মনে হচ্ছিল জয়টা হয়তো ফসকেই যাচ্ছে অজিদের হাত থেকে। গতকালের মতো আজও শফিককে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির শাহ। শেষ দিনে লক্ষ্যটা ১০৮ থেকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনছিল এই জুটি। একই সাথে স্মিথের কপালে চিন্তার ভাঁজটাও বড় হচ্ছিল। অজি বোলারদের হতাশ করে লক্ষ্যটাকে নিজের আয়ত্তের ভিতর নিয়ে আসছিল তাঁরা। পুরো মাঠে হাজারখানেক পাকিস্তানি দর্শক দারুণভাবে সমর্থন দিয়ে আসছিল দলকে।

     

    ঠিক ঐ সময়ই স্টার্কের সেই দুর্দান্ত বাউন্সার। শফিক কিছু বুঝে উঠার আগেই বল লাফিয়ে উঠে তাঁর গ্লাভসে লাগে। ওয়ার্নার এই সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেননি। পুরো পাকিস্তানি ড্রেসিংরুমে হতাশার কালো মেঘ ছেয়ে গেল, এত কাছে এসেও তাহলে পারলেন না শফিক! শফিকের ফেরার পর টিকতে পারেননি ইয়াসির শাহও, এই ওভারের শেষ বলেই রান আউট হলে শেষ হয় অসাধারণ ম্যাচটি।

     

    ম্যাচ হারলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন চতুর্থ ইনিংসে। ৭ম উইকেটের পর ৩টি জুটিই ৫০ পেরিয়েছে, দলের রানও ব্রিসবেনে চতুর্থ ইনিংসে সেরা। স্মিথকে অবাক করে দিয়েই শফিক পাকিস্তানের লেজকে নিয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন, ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচ না জিতলেও তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা গেছে শফিকের ঝুলিতেই।

     


    দুই দিনের বেশি সময় থাকতে ইনিংস ঘোষণা করাটা কতটুক যৌক্তিক হয়েছিল সেটা নিয়েও আজ বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে ম্যাচশেষে স্মিথ নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। ম্যাচে এইভাবে ফিরতে পেরে খুশি পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহও। আগামী ২৬ তারিখ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্নে।