• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা
  • " />

     

    ১৪৯ রানে ৬ উইকেট নেই দক্ষিণ আফ্রিকার

    ১৪৯ রানে ৬ উইকেট নেই দক্ষিণ আফ্রিকার    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ১ম দিন শেষে

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ৯০ ওভারে ২৬৭/৬ ( ডুমিনি ৬৩, কুক ৫৯, লাকমল ৪/৬২) 



    ব্যাটিং সহায়ক পিচ, তাই টস জিতে আগে ব্যাট করবার সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয়নি ডু প্লেসিসের। সিদ্ধান্তটা যে ভুল হয়নি তার প্রমাণও দিচ্ছিলেন দুই ওপেনার কুক-এলগার।  প্রথম সেশনে কুকের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে বিনা উইকেটে ৯২ রান তোলে প্রোটিয়ারা। শ্রীলংকার জন্য নিষ্ফলা সেশনে কেবল লাকমল বার কয়েক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ১০০ পেরোন দুজন। পোর্ট এলিজাবেথে শেষবার কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান উদ্বোধনী জুটি থেকে ১০০ রান এসেছিল ৪৬ বছর আগে। 


    এলগার-কুক জুটির আগের ৮ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৩। তাই এই জুটির প্রথম সেঞ্চুরি পার্টনারশিপটা কিছুটা স্বস্তি এনে দেয় নির্বাচকদের। কিন্তু ৩ ওভারের ব্যবধানে লাকমলের আউট সুইঙ্গারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দু ওপেনারই। ৩য় উইকেটে মারমুখী ডুমিনি আর ধীরস্থির আমলায় ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল আফ্রিকা। কিন্তু চা বিরতির পরই ৭৩ রানের জুটির ভাঙ্গন। আবার লাকমল, ২০ রানে ফিরলেন আমলা। অধিনায়ক ডু প্লেসিসকে সাথে নিয়ে ম্যাথিউস, চামিরা, প্রদীপ, হেরাথকে রীতিমত শাস্তি দিয়ে খেলছিলেন ডুমিনি। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১০ চারে ৬৩ রানে এলবিডব্লিউ হন রঙ্গনা হেরাথের বলে। বাভুমাও প্যাভিলিয়নে ফিরলেন প্রায় একইসাথে, হেরাথে পরাস্ত হয়েই। 


    হঠাৎই চাপে পড়া স্বাগতিকদের টেনে নিচ্ছিলেন ডু প্লেসিস - ডি কক। কিন্তু দিনের শেষদিকে আবার আঘাত আনেন লাকমল ডু প্লেসিসকে (৩১) ফিরিয়ে দিয়ে। তবে বাকিটা সময় ডি কক (২৫*) আর ফিলান্ডার (৬*) মিলে সামাল দিয়েছেন শ্রীলংকান বোলিং অ্যাটাককে। ৩২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৪ উইকেট নিয়েছেন কেবল একবার, তাও ২০১৪-তে পাকিস্তানের বিপক্ষে। কিন্তু লাকমল আজ রীতিমত দুর্ধর্ষ বোলিং করলেন, ক্যারিয়ার সেরা (৬২/৪) ফিগারে ম্যাচে ফিরিয়েছেন শ্রীলংকাকে। আউট সুইং - ইন সুইং জাদুতে একা হাতেই কাঁপিয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ।