শ্রীলংকাকে ধবলধোলাই করে র্যাঙ্কিং-শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৮৪/৬ ( আমলা ১৫৪, ডি কক ১০৯, লাকমল ৩/৭১)
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ ( গুনারত্নে ১১৪*, পাথিরানা ৫৬, মরিস ৪/৩১)
ফলাফল- দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ অফ দা ম্যাচ- হাশিম আমলা
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ফাফ ডু প্লেসি
সিরিজ জেতা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবি ডি ভিলিয়ার্সদের সামনে এবার ছিল র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার চ্যালেঞ্জ। সেঞ্চুরিয়নে শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলংকাকে ৮৮ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হঁটিয়ে ওয়ানডেতে এক নাম্বারে উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি ককের জোড়া সেঞ্চুরিতে লংকানদের ধবলধোলাই করেছে প্রোটিয়ারা।
টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান উপুল থারাঙ্গা। উদ্বোধনী জুটিতেই লংকান বোলারদের নাজেহাল করে ফেলেন আমলা-ডি কক। ১৮৭ রানের বিশাল এক জুটি দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। নিজের ১২ তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর লাকমলের বলে ফেরেন ডি কক। তবে ডু প্লেসির সাথে আরেকটি বড় জুটি গড়েন আমলা। আমলাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডু প্লেসি ও বেহারডিন, তাঁদের ঝড়ো ইনিংসে চারশর কাছে যায় স্কোর। ৪৯তম ওভারে ফেরার আগে ওয়ানডেতে ২৪ তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন আমলা, একই সাথে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০। ১৫৪ রানের অসাধারণ ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও তিনি পেয়েছেন।
৩৮৫ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলংকা। মাত্র ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লংকানদের পথ দেখান আসেলা গুনারত্নের। সচিথ পাথিরানার সাথে তাঁর ৯৩ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠে দল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা গুনারত্নে একপ্রান্ত আগলে রেখে সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখেছেন, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। আফ্রিকার ক্রিস মরিস ৪ উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন লংকান ব্যাটিং লাইনআপ।