• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা
  • " />

     

    ডি ভিলিয়ার্স ফিরলেন ডি ভিলিয়ার্সের মতোই

    ডি ভিলিয়ার্স ফিরলেন ডি ভিলিয়ার্সের মতোই    

    নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ মিনিট আগেই বেনোনির মাঠে উপস্থিত হলেন। তখনো দলের অন্যরা মাঠে আসেনি। সবকিছু গুছিয়ে কিছুক্ষণ মাঠটা ঘুরে দেখলেন। দীর্ঘ ছয় মাস পর ব্যাট হাতে নামার আগে কিছুটা ‘নার্ভাস’ ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, এটা বলাই বাহুল্য! তবে মাঠে নামার পর মুহূর্তেই উড়ে গেলো সবকিছু। নিজের ফেরার ম্যাচে নর্দানসের হয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে প্রমাণ করলেন, এখনো অনেক কিছুই দেওয়ার আছে তাঁর। 

     

    গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর অবসর নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছিল। শেষ পর্যন্ত নিজেই জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন, এখনি অবসরে যাচ্ছেন না। একই সাথে এই বছরের ৩ টি টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে কিছুটা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এবি। কালকের ম্যাচের আগে এসব কিছু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তবে ব্যাট হাতে নামার পর দেখা গেলো চিরচেনা সেই ডি ভিলিয়ার্সকেই।

     

    কিছুদিন আগে এবি বলেছিলেন, “আমি জানি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।” তিনি  কথা রেখেছেন, গতকাল ১০৩ বলে ১৩৪ রানের ঝকঝকে ইনিংসটি সাক্ষ্য দিচ্ছে, এবি এখনো আগের মতোই আছেন। ১৯ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি দেখে একবারো মনে হয়নি, ছয় মাসে এই প্রথমবার ব্যাট হাতে নামলেন!

     

     

    নর্দানস কোচ মার্ক চার্লটনও এরকমটাই ভাবছেন, “তিনি গত কয়েক মাস ধরে খেলেননি, এটা মনেই হচ্ছিল না! তাঁর কনুই পুরোপুরি ঠিক হয়েছে বলেই আমার ধারণা। দুর্দান্ত খেলেছেন এবি, আমরা তাঁকে দলে পেয়ে দারুণ আনন্দিত। দলের অন্য সদস্যরা তো দারুণ উচ্ছ্বসিত তাঁর মতো ক্রিকেটারের সাথে খেলতে পেরে।”


    ২৫ জানুয়ারি শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণাটা আগেই দিয়েছিলেন। সেটার তিনদিন আগে এরকম একটা সেঞ্চুরি অবশ্যই বাড়তি মনোবল জোগাবে এবিকে।