ইতিহাস গড়া হলো না শ্রীলঙ্কার
স্কোরকার্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৩৬৭/ ৪ (ডু প্লেসি ১৮৫, ডি ভিলিয়ার্স ৬৪, ডি কক ৫৫; পাথিরানা ২/৫৩)
শ্রীলঙ্কা ৪৮.১ ওভারে ৩২৭ (থারাঙ্গা ১১৯; পারনেল ৪/৫৮)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০ রানে জয়ী
ইতিহাস ছিল বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ৩২৪ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই তাদের। গত ২৮টি দিবারাত্রির ওয়ানডেতেও পরে ব্যাট করেছে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র ছয়টি। বিপক্ষে ছিল ফর্মও, সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই যে শ্রীলঙ্কা হেরে বসেছে। একবারও ২০০র বেশি রানও করতে পারেনি। অথচ সেই ইতিহাসকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরেকটু ৩৬৭ রান তাড়া করার কাছাকাছিই চলে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৪০ রান দূরে থেমে গেছে বটে, তবে স্কোরকার্ড যা বলছে ম্যাচটা তার চেয়েও অনেক বেশিই জম জমাট ছিল। অন্তত শেষ ৬ ওভারের আগেও জয়ের আশাটা ভালোমতোই বেঁচে ছিল শ্রীলঙ্কার।
শেষ ৬ ওভারে যখন ৬০ রান দরকার, শ্রীলঙ্কার হাতে উইকেট তখনও পাঁচটি। কিন্তু ইমরান তাহিরের ৪৬তম ওভারের প্রথম বলেই ফিরে গেলেন কুলাসেকারা। শেষ বলে ভিরাক্কুডিও যখন ৫৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন, বড় একটা ধাক্কাই খেল শ্রীলঙ্কার স্বপ্ন। অথচ গুনারত্নে ও ভিরাক্কুডু মিলে জয়ের স্বপ্নটা দারুণ উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটিটাই শ্রীলঙ্কাকে একটু একটু করে নিয়ে যাচ্ছিল জয়ের দিকে।
তার আগে অবশ্য ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছিলেন উপুল থারাঙ্গা। অনেক দিন ধরেই শ্রীলঙ্কা দলে খেলছেন, তবে আজকের মতো এমন রুদ্রমূর্তিতে ছিলেন কি না সন্দেহ। প্রথম ১০ ওভারেই ডিকভেল্লার সঙ্গে তুলে ফেলেছিলেন ১০০, পরের দিকে একটু স্লথ হওয়ার পরও ৯০ বলে করেছেন ১১৯। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষদিকে এসেই সব গড়বড় হয়ে গেল।
তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চূড়ায় উঠিয়ে গেছেন ফাফ ডু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটাও আরেকটু হলেই ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্যারি কারস্টেনের ১৮৮ রান থেকে মাত্র তিন রান দূরেই থেমে গেছেন। দলকে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেওয়ার পরও সেটি নিয়ে আফসোস থাকতেই পারে!