ডি ভিলিয়ার্সের ফেরায় নায়ক প্রসন্নে
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৬৯/ ৫ (ডি ভিলিয়ার্স ৬৩, হেনড্রিকস ৪১; সান্দাকান ১/৩০)
শ্রীলঙ্কা ১৯.৫ ওভারে ১৭০/৫ (দিকভেল্লা ৬৮, প্রসন্ন ৩৭*, তাহির ৩/১৮)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী
যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, ম্যাচটা প্রায় শ্রীলঙ্কার হাত থেকে ফসকেই গিয়েছিল। ৪ ওভারে তখনও দরকার ৫২ রান। এমন কিছু নয় নয়, কিন্তু এক ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে একটু বিপাকেই শ্রীলঙ্কা। সেকুগে প্রসন্ন সেখান থেকেই এনে দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার দিনে ম্লান করে দিয়ে ৫ উইকেটের স্মরণীয় এক জয় এনে দিলেন দলকে।
অথচ শেষ ওভারের আগেও মনে হচ্ছিল, জয়টা যে কারও হতে পারে। শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য তখনও দরকার ১১ রান। প্রথম বলেই গুনারত্নে চার মেরে ম্যাচের পাল্লাটা নিজেদের দিকে নিয়ে এলেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, চতুর্থ বলে চার মেরেই উদযাপন শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরের বলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়েই সফর শেষ করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
অথচ এই ম্যাচটা হওয়ার কথা ছিল ইমরান তাহিরের। হতে পারত এবি ডি ভিলিয়ার্সের। এমনকি হতে পারত নিরোশান দিকভেল্লারও। প্রায় সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ডি ভিলিয়ার্স জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ব্যাটে মরচে ধরেনি একদমই। ৪৪ বলের ৬৩ রানের ইনিংসে দলকে বড় একটা স্কোরের ভিত তিনিই এনে দিয়েছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১৬৬ রান পর্যন্ত যাওয়ার বড় কৃতিত্ব মানগালিসো মোশেলের। শেষ ওভারে তিন ছয়েই এনে দিয়েছিলেন লড়াই করার মতো একটা স্কোর।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, ফিল্ডারদের সৌজন্যে সেই রানটাও টপকে যাবেন দিকভেল্লা। ওয়েইন পারনেলের এক ওভারে পর পর দুই বলে জীবন পেয়েছেন, তার আগে আবার ধনঞ্জয় ডি সিলভার ক্যাচ মিস করে ক্যাচ ফেলার হ্যাটট্রিক করেছেন ফিল্ডাররা। দিকভেল্লা সেই সুযোগটা নিয়ে ম্যাচটা জিতিয়ে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এর পর এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে আঘাত হানেন তাহির। কিন্তু কে জানত, সেই রানটাও প্রসন্নের জন্য অল্প হয়ে যাবে। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন, এবার ঝড় তুললেন দেশের হয়েও।