স্মিথের দিনে খাজার হতাশা
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চতুর্থ দিন শেষে
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৩/৯ ডিক্লে
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪৬৫/৬ ( স্মিথ ১০০*, খাজা ৯৭, সোহেল ২/৮৬)
মেলবোর্নের আকাশটা চা বিরতির আগে থেকেই গুমোট হয়ে ছিল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও পড়ছিল, আম্পায়াররা কয়েক দফা আলোচনাও করছিলেন খেলা থামানোর ব্যাপারে। স্মিথ হয়তো এজন্যই দ্রুত গতিতেই নিজের সেঞ্চুরিটা পূর্ণ করলেন। তাঁর কিছুক্ষণ পরেই বন্ধ হয়ে গেল খেলা। এরপর বৃষ্টি না কমায় দিনের বাকি সময়ের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। স্মিথের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতেই বক্সিং ডে টেস্টে এর মধ্যেই পাকিস্তানের রান টপকে গেছে। অলৌকিক কিছু না হলে অবশ্য এই টেস্ট ড্র-ই হতে চলেছে।
ম্যাচের চতুর্থ দিনটা স্মিথেরই বলা চলে। পিটার হ্যান্ডসকম্ব, নিক ম্যাডিনসনকে নিয়ে গড়া জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গিয়েছেন শক্ত অবস্থানে। অভিষেকের পর টানা তিন টেস্টেই ফিফটির দেখা পাওয়া হ্যান্ডসকম্ব দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন স্মিথকে। ৯২ রানের জুটি গড়ার সময়ে নিজের ক্যারিয়ারের ১৭ তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অজি অধিনায়ক। বক্সিং ডে টেস্টে তাঁর দুর্দান্ত রেকর্ডটা এবারো বহাল থাকল। গত দুইবারই এখানে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। টানা তিনবারের মতো এক বছরে হাজারের বেশি রানও তুলে নিয়েছেন আজই। তাঁর সামনে আছেন শুধু স্বদেশী ম্যাথু হেইডেন, পাঁচবার এক বছরে হাজারের ঘরে রান করেছিলেন তিনি।
স্মিথ পারলেও সেঞ্চুরির স্বাদটা পাননি উসমান খাজা। আগের দিন দুর্দান্ত খেলা খাজা আজ সকালেই ফিরে গিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজের বলে। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা তাঁর চোখেমুখে স্পষ্ট ছিল। গতকাল ১০টির পর আজও দুইবার ‘নো-বল’ করেছেন ওয়াহাব, এক ইনিংসে মোট ১২ টি নো-বল করলেন তিনি।
স্মিথ হয়তো ভেবেছিলেন আজ বাকি দিনে বড় একটা লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ম্যাচটা জমিয়ে দেবেন। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি সেটা আর হতে দেয়নি। আগামীকাল যদি পুরো ৯৮ ওভারও খেলা হয়, ড্র ছাড়া অন্য কোন ফলাফলের খুব একটা আশা করা যাচ্ছে না।