এলগারের সেঞ্চুরিতে ভালো অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ৯০ ওভারে ২৯৭/৬ (এলগার ১২৯, ডি কক ৬৮*, দু প্লেসি ৩৮; কুমারা ৩/৮৬, লাকমল ২/৬৯)
নিউল্যান্ডসের মাঠ সবসময়ই পেস বোলারদের স্বর্গ। তাই টসে জিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বোলাররাও হতাশ করেননি তাকে। প্রথম সেশনেই বেশকিছু উইকেটের পতনে স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু ডিন এলগারের দায়িত্বশীল সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনশেষে চালকের আসনে বসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দিনের প্রথম ওভারে গত টেস্টের ম্যাচসেরা স্টিফেন কুক পরাস্ত হন লাকমলের সুইং বলে।৬৬ রানে একই ওভারে লাহিরু কুমারা ফিরিয়ে দেন আমলা ও ডুমিনিকে। ৩ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ করেই চাপে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস মেরামত করেন দু প্লেসি ও এলগার। ৭৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। চা বিরতির ঠিক আগে হেরাথের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এই উইকেট নিয়ে শ্রীলংকার টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করলেন এই স্পিনার ( চামিন্দা ভাসও আছেন ৩৫৫ উইকেটে)।
বাভুমাও কিছুক্ষণ পর ফিরে গেলে আবার চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে এবারো চাপ সামাল দেন এলগার, সাথে ছিলেন ডি কক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২৪ ওভারে ১০৩ রান প্রাণ ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকান ইনিংসে। ককের মারমুখী ব্যাটিং আর এলগারের ঘাম ঝরানো সেঞ্চুরিতে দলকে চালকের আসনে বসান। দিনজুড়েই দারুণ সব স্ট্রোক আর ড্রাইভে ধীরস্থির এলগার ইনিংসের ভিত গড়েন।
শেষপর্যন্ত লাকমলের উইকেটের বাইরের বলে বলে ১২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। বেশ কিছু সুযোগ পেলেও ডি কক দারুণ কিছু কাট-পুল শটে ৬৮ রানে অপরাজিত আছেন দিনশেষে, নাইটওয়াচম্যান অ্যাবটও নেমেই করেছেন ১৬ রান।