রাবাদা-ফিলান্ডারে বিধ্বস্ত শ্রীলংকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিনশেষে)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৯২ (এলগার ১২৯, কক ১০১; কুমারা ৬/১২২) এবং ১১ ওভারে ৩৫/০ (এলগার ১৯*, কুক ১৫*)
শ্রীলংকা ১১০ অলআউট (থারাঙ্গা ২৬*; ফিলান্ডার ৪/২৭, রাবাদা ৪/৩৭, মহারাজ ২/৩২)
আজকের দিনটায় বোধ হয় এরচেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতেন না ফাফ দু প্লেসি। প্রথমে ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর গড়েছে দল, এরপর প্রোটিয়া বোলাররা খুব কম রানেই গুড়িয়ে দিয়েছেন লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপকে। তারপর আবার ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই লিডটা হয়ে গেছে ৩১৭ রানের। তাই মাত্র ২য় দিন শেষেই কেপটাউন টেস্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে।
সকালটা ডি ককের বললে ভুল হবে না। গতদিনের ৬৮ রান নিয়ে শুরু করেছিলেন। দিনের প্রথম বলেই লাকমলকে চার মেরে শুরু করা আত্নবিশ্বাসী কক সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র ১২০ বলে। এই প্রথম কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটরক্ষক শ্রীলংকার সাথে টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেন। ইনিংসটা অবশ্য দীর্ঘায়িত করতে পারেনি। দলের ৩৩৬ রানে কুমারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ককের আগেই অবশ্য ফিরেছেন নাইটওয়াচম্যান অ্যাবট। ১৬ রানে থাকা অ্যাবটকে আউট করে শ্রীলংকার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটের মালিক এখন রঙ্গনা হেরাথ। ওপরে আছেন কেবল মুরালিধরন। এরপর মহারাজের ৩২ আর ফিলান্ডারের ২০ রানে ভর করে ৩৯২ রানে থামে প্রোটিয়া ইনিংস। ফিলান্ডার ও রাবাদাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন লাহিরু কুমারাই। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই ৬ উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তাটা দুর্দান্তভাবেই দিয়েছেন ১৯ বছরের তরুণ।
ব্যাট করতে নেমে নতুন বলে আফ্রিকার বোলিং অ্যাটাক ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন দুই ওপেনার। ৩১ রানে সিলভাকে বোল্ড করে প্রথম উইকেটের পতন ঘটান রাবাদা। এরপর মেন্ডিস আর করুণারত্ন রানের চাকাটা সচল রেখেছিলেন। তবে মহারাজের বলে ৬ হাঁকানোর পরের বলেই আবার ৬ মারতে গিয়ে ডুমিনির কাছে ধরা পড়েন মেন্ডিস। ২ উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া লঙ্কানদের প্রতিরোধ তৃতীয় সেশনে আর টেকেনি। রাবাদার বলে বাভুমার দুর্দান্ত ক্যাচে করুণারত্ন আউট হন ৫৬ রানেই। এরপর রাবাদা তুলে নিয়েছেন চান্দিমাল আর ম্যাথিউসের উইকেটও। রাবাদা ঝড়ে ৫৬ রানে ১ উইকেট থেকে ৭৮ রানে ৬ উইকেটে পরিণত হয় শ্রীলংকা। রাবাদার শুরুতে শেষটা করেছেন ফিলান্ডার। শ্রীলংকার লোয়ার অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন ১৫০ উইকেট পূর্ণ করা ফিলান্ডার। মাত্র ১২ বলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন থারাঙ্গা, অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে।
ফলোঅন না করিয়ে আবার ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৩৫ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।