হ্যান্ডসকম্বের দিনে ইউনিস-আজহারের প্রতিরোধ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
২য় দিনশেষে
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৫৩৮/৮ ডিক্লে( রেনশ’ ১৮৪, হ্যান্ডসকম্ব ১১০, রিয়াজ ৩/৮৯)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১২৬/২( ইউনিস ৬৪*, আজহার ৫৮*, হ্যাজেলউড ২/৩২)
প্রথম সেঞ্চুরির সময়ও এমনটা হয়নি। ‘নার্ভাস নাইনটিজে’ হ্যান্ডসকম্বের অস্বস্তিটা তাঁর মা ও প্রেমিকাকেও সমানভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল! ৯৮ রানে তো প্রায় আউটই হয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পূর্ণ করে স্বস্তির উদযাপন করেছেন। তাঁর সেঞ্চুরির সুবাদেই রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে অজিরা। শুরুতে ধাক্কা খেলেও ইউনুস-আজহার জুটি দিনের শেষ সেশনে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।
সিডনির মাঠটা হ্যান্ডসকম্বের জন্য ‘পয়া’ই বলতে হয়। এখানেই গত মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে ডাবল সেঞ্চুরি নির্বাচকদের দৃষ্টিতে এসেছিলেন। সেই ইনিংসের সুবাদেই অস্ট্রেলিয়া দলে ডাকও পেয়েছিলেন। ৩৬৫ রানে দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া, হ্যান্ডসকম্বেওর রান ছিল তখন ৪০। আজ লাঞ্চের পরেই পেয়ে গেছেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাঁর আউট অবশ্য খানিকটা অদ্ভুতভাবেই হয়েছে। ওয়াহাব রিয়াজের বল থার্ড ম্যানের দিকে পাঠিয়ে প্রান্ত বদল করার কিছুক্ষণের মাঝেই বুঝতে পারেন, ব্যাটের আঘাতে স্ট্যাম্প পড়ে গিয়েছে! যদিও পাকিস্তানের কেউই ব্যাপারটা খেয়াল করেননি। পরে স্কয়ার লেগ আম্পায়ারের কথায় রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হয় হ্যান্ডসকম্ব হিট উইকেট হয়েছেন। তবে সাজঘরে ফেরার আগে নবাগত হেলটন কার্টরাইটকে নিয়ে গড়া ৯১ রানের জুটি দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেয়।
হ্যান্ডসকম্বের আনন্দের দিনে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে গতদিনের সেঞ্চুরিয়ান ম্যাট রেনশ’কে। নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করতে না পারার আফসোসটা তাঁর চোখে স্পষ্ট ছিল। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে থাকতেই ইমরান খানের বলে ফেরেন তিনি।
স্মিথদের বিশাল সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি মিসবাহদের। চতুর্থ ওভারেই সারজিল খান ও বাবর আজমকে ফেরান হ্যাজলউড। মনে হচ্ছিল এবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পাকিস্তান। তবে অনেকদিন হল ফর্মে না থাকা ইউনিস খান আবার স্বরূপে ফিরেছেন। পুরো সিরিজে দুর্দান্ত খেলা আজহার আলীকে সাথে নিয়ে গড়া ১২০ রানের জুটি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে। 'এখনো ফুরিয়ে যাননি', নিজের ক্যারিয়ারের ৩৩ তম হাফ সেঞ্চুরি করা ইউনিস খান সমালোচকদের হয়তো সেই বার্তাটাই দিয়েছেন। তবে আগের দুই টেস্টের পুনরাবৃত্তি এড়াতে হলে পাকিস্তানকে এখনো অনেক দূর যেতে হবে।