• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা
  • " />

     

    দেশ নয়, কাউন্টিকেই বেছে নিলেন অ্যাবট

    দেশ নয়, কাউন্টিকেই বেছে নিলেন অ্যাবট    

    বোমাটা ফেটেছিল দুদিন আগেই। হঠাৎ করেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে কাইল অ্যাবট কাউন্টিতে যাচ্ছেন কলপ্যাক চুক্তি করে। সেই গুজবটার সত্যতা প্রমাণ হয়েছে আজকের ম্যাচের পরেই। জাতীয় দলের করা চুক্তি শেষ করে দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আর খেলার সম্ভাবনাও প্রায় নেই বললেই চলে। 

    হ্যাম্পশায়ারের সাথে অ্যাবটের চুক্তিটা ৪ বছরের। জাতীয় দলের আরেক সতীর্থ রাইলি রুশোকেও ৩ বছরের চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে কাউন্টি দলটি। তাই ধাক্কাটা বেশ বড় হয়েই এসেছে প্রোটিয়াদের জন্য। তার চেয়েও বড় কথা, চারদিন আগেও ব্যাপারটা নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড। এরপর অ্যাবটকে সিদ্ধান্ত থেকে ফেরানোর অনেক চেষ্টা করেও আর লাভ হয়নি। 

    ম্যাচের পর আবেগে আপ্লুত অ্যাবট জানিয়েছেন, এটা তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও নিজের জন্য সঠিক পথটাই বেছে নিয়েছেন, "কয়েক মাস আগে সিদ্ধান্ত নেবার পর একেবারেই ভারমুক্ত হয়ে খেলেছি। বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা তাড়া করেনি। যখন খেলেছি, সেরাটাই দিয়েছি দলের জন্য। যদি আমি দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রতি দায়বদ্ধ না থাকতাম, তবে এটা অনেক আগেই করতাম।"

    কোটা প্রথার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন বাস্তবতাকেও মেনে নিতে হবে। "আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলে আমার চার বছর পূর্ণ হত। কিন্তু আফ্রিকাতে অভিষেকের পর থেকে সব পর্যায়েই কোটা নীতি দেখে এসেছি। আমি কখনোই এটাকে অযুহাত হিসেবে দাড় করাইনি। এখনো করবো না। তবে আমাকে বিল পরিশোধের কথা মাথায় রাখতে হয়, জিনিসপত্র কিনতে হয়। সব ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

    অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি অবশ্য বলছেন, কাইলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও এটার সাথে একমত নন তিনি। "দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের জন্য এটা বিপদ সংকেত। এরকম যেন আর না ঘটে সেটা সামলাতে হবে প্রোটিয়া ও বোর্ড সবাইকে মিলেই।" ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত হতাশার সুরেই বলেছেন, "কেউ যদি প্রোটিয়া হিসেবে খেলার অধিকার ছাড়তে চায়, সেক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। আমরা ভবিষ্যতের প্রোটিয়াদের নিয়েই ভাবতে চাই।"