ওয়েডের কাছেই হারলো পাকিস্তান
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (১ম ওয়ানডে)
অস্ট্রেলিয়া ২৬৮/৯ ( ম্যাথু ওয়েড ১০০*, ম্যাক্সওয়েল ৬০, হাসান আলী ৩/৬৫)
পাকিস্তান ১৭৬ ( বাবর আজম ৩৩, ইমাদ ওয়াসিম ২৯, জেমস ফকনার ৪/৩২, প্যাট কামিন্স ৩/৩৩)
ফলাফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৯২ রানে জয়ী
ম্যান অফ দা ম্যাচঃ ম্যাথু ওয়েড
পুরো সিরিজে এরকম সুযোগ খুব একটা আসেনি। টেস্টে ধবলধোলাই হওয়ার ক্ষতটা আজকের ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে পুরোপুরি দূর না হলেও কিছুটা আত্মবিশ্বাস অবশ্যই বাড়িয়ে দিত আজহার আলির দলকে। কিন্তু ম্যাথু ওয়েডের সেঞ্চুরি ও নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেতে হল পাকিস্তানকে।
লক্ষ্যটা খুব একটা বেশি ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে সারজিল-আজহারও ভালোই সূচনা করেছিলেন। ফকনারের বলে সারজিল ফেরার পর থেকেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। বাবর আজম, ইমাদ ওয়াসিমরা উইকেটে সেট হওয়ার পর সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছেন, নাহয় একেবারেই খোলসের ভেতর ঢুকে গিয়েছিলেন উমর আকমলরা।
পাকিস্তানের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা ফকনারের হাত ধরেই। তাঁর বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ব্যাটসম্যানরা। ফকনারকে অন্য প্রান্ত থেকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন আরেক ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স।
টসে জেতা অজিদের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। দুর্দান্ত বোলিং করা আমির পরপর দুই বলে ফেরান ওয়ার্নার ও স্মিথকে। শেষ ৫ ইনিংসে এই নিয়ে ৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন স্মিথ। ট্রাভিস হেডকে নিয়ে অভিষিক্ত ক্রিস লিন মারমুখী ভঙ্গিতেই পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এতে উল্টোটাই হয়েছে, দুজনই উচ্চভিলাষী শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। মাত্র ৭৮ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল ক্যাঙ্গারুরা।
সেখানেই শুরু ম্যাথু ওয়েডের প্রতিরোধ। প্রাথমিকভাবে ম্যাক্সওয়েলের সাথে সামাল দেন ব্যাটিং বিপর্যয়। অন্যদিকে ভারত সফরের জন্য নিজেকে দলে স্থায়ী করার সুযোগটা ভালোই কাজে লাগাচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ব্যাটিং করেছেন। হাসান আলির দারুণ এক স্লোয়ারে তিনি ফিরলেও ওয়েড শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। গিলক্রিস্টের পর প্রথম অজি উইকেটকিপার হিসেবে ব্রিসবেনের মাঠে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন ওয়েড। দুর্দান্ত এই ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা পুরষ্কারটাও গিয়েছে তাঁর ঝুলিতেই।