• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
  • " />

     

    দেশের বাইরে এই অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য কী, চ্যাপেলকে পাল্টা প্রশ্ন মিসবাহর

    দেশের বাইরে এই অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য কী, চ্যাপেলকে পাল্টা প্রশ্ন মিসবাহর    

    নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় টানা পরাজয়ের শিকার পাকিস্তানকে সেখানে খেলতে ডাকার কোনো মানে নেই- সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তী ইয়ান চ্যাপেলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে চ্যাপেলের করা মন্তব্যকে ‘অযাচিত এবং অশোভন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মিসবাহ।

     

    পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক লিখেছেন, চ্যাপেলের মানের একজন কিংবদন্তী ক্রিকেটারের সাথে এসব কথাবার্তা যায় না, “দলে আমার অবস্থান, আমার নেতৃত্ব এবং পাকিস্তান দলের অস্ট্রেলিয়া সফর করা উচিত কিনা এসব বিষয়ে ইয়ান চ্যাপেলের কড়া কিছু মন্তব্য আমার নজরে এসেছে যার পুরোটাই অযাচিত এবং অশোভন। তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট পর্যবেক্ষকের কাছ থেকে এমন অর্থহীন মন্তব্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়।”

     

    চ্যাপেলের অভিমত মেনে নিলে অস্ট্রেলিয়ারও বিদেশ সফর করা উচিত নয়- এমনটাই মনে করেন মিসবাহ, “সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াও তো পরাজিতদের দলেই আছে। তাঁরা শ্রীলংকার এমন এক দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে যে দলে জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারাদের মতো তারকারা তো ছিলেনই না, এমনকি ওই দলের অনেক ক্রিকেটার ১০টি টেস্টও খেলে নি। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাঁরা (অস্ট্রেলিয়া) একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ ০-৫ ব্যবধানে হেরে এসেছে। নিকট অতীতেই তাঁরা আরব আমিরাতে আমাদের কাছে এবং ভারতেও হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে। চ্যাপেলের মন্তব্য অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে আমরাও কি প্রশ্ন তুলতে পারি না যে, এভাবে উপমহাদেশে হোয়াইটওয়াশ হতে থাকলে তাঁদেরও সেখানে খেলতে যাবার কোনো মানে আছে কিনা?”

     

    কিন্তু সেটা কোনো সমাধান নয় বলে মন্তব্য করে মিসবাহ বলছেন, দলগুলো অনেক লম্বা বিরতি দিয়ে বিদেশ সফরে যায় বলেই স্বাগতিকদের সাথে লড়াইটা অসম হয়ে যায়, “এখন অস্ট্রেলিয়া যদি এশিয়ায় খেলতে না যায় আর এশিয়ার দলগুলোও যদি অস্ট্রেলিয়ায় না আসে তাহলে দিনশেষে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবাই। আমরা এমন কালেভদ্রে সফর করি বলেই স্বাগতিক আর সফরকারীদের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান হয়ে যায়। ২০০৯-১০ সালে আমরা সর্বশেষ এখানে খেলেছিলাম। আবার যখন আমাদের দল এখানে আসবে তখন হয়তো ৮-৯ জনই থাকবে নতুন মুখ। এভাবে সাত বছরে একবার অস্ট্রেলিয়া সফর করলে আমরা কীভাবে উন্নতি করবো?”