স্মিথের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার সহজ জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তানঃ ২৬৩/৭ ( বাবর আজম ৮৪, সারজিল খান ৫০, জস হ্যাজলউড ৩/৩২)
অস্ট্রেলিয়া ২৬৫/৩( স্টিভ স্মিথ ১০৮*, পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৮২, মোহাম্মদ আমির ১/৩৬)
ফলাফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অফ দা ম্যাচঃ স্টিভ স্মিথ
পার্থের এই ভেন্যুটা পাকিস্তানের জন্য বরাবরই ‘পয়া’। এখানে খেলা ছয় ম্যাচের চারটিতেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে তাঁরা। গত ম্যাচে দারুণভাবে সিরিজে সমতায় আনার পাশাপাশি এই কারণটাও হয়তো বাড়তি প্রেরণা যোগাচ্ছিল মোহাম্মদ হাফিজদের। তবে অজি অধিনায়কের ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা, তাঁর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতেই পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে (২-১) গেল অজিরা।
গত ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা স্টিভ স্মিথ আজ শুরু থেকেই চড়াও হয়েছিলেন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। নিজের ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া স্মিথ দুর্দান্ত এই ইনিংসের জন্য হয়েছে ম্যাচসেরাও। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অভিষেক হওয়া পিটার হ্যান্ডসকম্ব, স্মিথের সাথে তাঁর জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে।
যদিও নিজের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে শূন্য রানেই ফিরে যেতে পারতেন হ্যান্ডসকম্ব! তবে জুনায়েদ খান নো বল করায় সেই যাত্রায় বেঁচে যান। কিছুক্ষণ পরে আবারো তাঁর ক্যাচ ফেলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুইবার জীবন পাওয়া হ্যান্ডসকম্ব সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরেন। তবে ততক্ষণে অজিদের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ট্রাভিস হেডকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন স্মিথ।
দিনের শুরুতে পার্থে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনা করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার। জস হ্যাজলউডের দারুণ এক ইনসুইংয়ে মোহাম্মদ হাফিজ ফিরলেও সারজিল খান ও বাবর আজম রানের গতি ধরে রাখেন। হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার সাথে সাথেই ট্রাভিস হেডের বলে সাজঘরে ফেরেন সারজিল, এরপর আসাদ শফিকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
শোয়েব মালিক- বাবর আজম জুটি পাকিস্তানকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা বাবর আজকে করেছেন দারুণ এক রেকর্ড। সবচেয়ে কম ম্যাচে (২১ ম্যাচ) ওয়ানডেতে ১০০০ রান পূর্ণ করে ভিভ রিচার্ডস, কেভিন পিটারসন, ডি কক ও জোনাথন ট্রটের পাশে বসেছেন তিনি। তাঁর বিদায়ের পরেই খানিকটা খেই হারিয়ে ফেলেন পাকিস্তান। একটা সময় মনে হচ্ছিল ৩০০ রান পার হয়ে যাবে, তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। শেষ ১০ ওভারে উঠেছে মাত্র ৫০ রান। ম্যাচ শেষে হাফিজ বলেছেন, এটাই ছিল ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট।