• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
  • " />

     

    সিরিজ হেরে ক্যাচ ফেলার মাশুল দিল পাকিস্তান

    সিরিজ হেরে ক্যাচ ফেলার মাশুল দিল পাকিস্তান    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৩৫৩ /৬ (ওয়ার্নার ১৩০, ম্যাক্সওয়েল ৭৮; হাসান ৫/৫২)

    পাকিস্তান ৪৩.৫ ওভারে ২৬৭ (শারজিল ৭৪, মালিক ৪৭; হ্যাজলউড ৩/৫৪, জাম্পা ৩/৫৫)

    ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানে জয়ী


    কাকে দোষ দেবেন আজহার আলী? অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৩৫০ রানের পাহাড়টা তো পাকিস্তান একটু একটু করে টপকাচ্ছিলই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর দমে কুলাল না, ৮৬ রান দূরেই মুখ থুবড়ে পড়ল। সে জন্য ব্যাটসম্যান বা বোলারদের দায় যতটা, তার চেয়েও বেশি দায় বোধ হয় নিতে হবে পাকিস্তানের ফিল্ডারদের। এতগুলো নিশ্চিত ক্যাচ না ছাড়লে অস্ট্রেলিয়াও এত রান করতে পারে না, পাকিস্তানের জয়ের সুযোগও বাড়ে। এক ম্যাচ আগে সিরিজও খুইয়ে বসতে হয় না পাকিস্তানকে।

    শুরু থেকেই মিসফিল্ডিংয়ে রান দিতে থাকে পাকিস্তান, তবে প্রথম বড় ভুলটা করে ২৪তম ওভারে এসে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন শারজিল খান। স্মিথের রান তখন ১০, শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৪৯ রান করে।

    ৮ ওভার পর আবারও ক্যাচ মিস পাকিস্তানের, এবার ইমাদ ওয়াসিমের বলে ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন হাসান আলী। ওয়ার্নার অবশ্য তখন সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন, খুব বড় মূল্য দিতে হয়নি।

    তবে ৩৯তম ওভারে এসে আবার দুর্ভাগা বোলার ওয়াসিম, এবারও ফিল্ডার হাসান আলী। ম্যাক্সওয়েলের এই ক্যাচ ফেলে দেওয়ার মাশুলটা ভালোমতোই দিতে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েল আউট হয়েছেন ৭৮ রানে। পরে ট্রাভিস হেডের আরও একটা ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন শারজিল। তা ছাড়া আরও বেশ কিছু মিসফিল্ড তো আছেই। পড়ে পাওয়া সুযোগ নষ্ট করেনি অস্ট্রেলিয়া, শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে করেচে ৩৫৩। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

    এমন রান তাড়া করে পাকিস্তানের শুরুটা যেরকম হওয়ার কথা ছিল, ঠিক সেরকমই হয়েছিল। ওপেনার শারজিল ফিল্ডিংয়ের প্রায়শ্চিত্ত করতেই কি না, শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ১০ ওভার শেষে শুধু অধিনায়ক আজহার আলীর উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তুলে ফেলেছিল ৬৮ রান। ১৫তম ওভারে গিয়েই শারজিল ৩৬ বলে পেয়ে যান ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার রানটা তখন বেশি বড় মোটেই মনে হচ্ছিল না।

    কিন্তু ৭৪ রান করে শারজিল ফিরে যাওয়ার পরেই বড় একটা ধাক্কা খায় পাকিস্তান। তার আগেই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন বাবর আজম। মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক এরপর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলে আশা জিইয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু যে বড় ইনিংসটা দরকার ছিল, দুজনের কেউই সেটা খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান, ৪৩.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ২৬৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার জস হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পা নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।