• " />

     

    এই ম্যাচ হেরে গেল আফগানিস্তান!

    এই ম্যাচ হেরে গেল আফগানিস্তান!    

    স্কোর

    জিম্বাবুয়ে ৩২.৪ ওভারে ১২৯ (মুসাকান্দা ৬০, ওয়ালার ৩৬*; নাইব ৪/২৯)

    আফগানিস্তান ২৯.৩ ওভারে ১২৬ (স্টানিকজাই ৩১, উইলিয়ামস ৩/১৫, পোফু ৩/২৪, চাতারা ৩/৩০)

    ফল: জিম্বাবুয়ে ৩ রানে জয়ী


    ২৪ ওভারে দরকার ১৬ রান, হাতে তখনও ৫ উইকেট। মোহাম্মদ নবী একটা ছয় মেরে লক্ষ্যটা নিয়ে এলেন দশে। আফগানিস্তানের জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার, সিরিজ জেতাও প্রায় নিশ্চিত। এর পর যা হলো সেটা আসলে স্কোরকার্ড দেখে স্রেফ অবিশ্বাস্য মনে হবে। ৫ রানে ৫ উইকেট হারাল আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে পেল ৩ রানের অবিস্মরণীয় এক জয়। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরও সিরিজে তাই টিকে রইল জিম্বাবুয়ের আশা। নিজেদের ইতিহাসে এত কম রান করে কখনো জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে।

    অথচ জিম্বাবুয়ের ১২৯ রানের লক্ষ্যটা অনায়াসেই পেরিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। লক্ষ্যটা ছোট, ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও আফগান অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই হয়তো খুব একটা দুশ্চিন্তা করেননি। সামিউল্লাহ শেনোয়ারি তো ক্রিজে ছিলেনই, আর নবী বহু ম্যাচই দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। কিন্তু কয়েকটা ওভারেই যেন সব গড়বড় হয়ে গেল।

    ২৭তম ওভারে শেনোয়ারিকে আউট করে শুরুটা করেছিলেন পোফু। পরের বলেই ফিরে যান নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে আফগানিস্তান বড় ধাক্কা খায় পরের ওভারে, শন উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হয়ে যান নবী। তখনও জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৬ রান। কিন্তু পোফু আবার আঘাত হানেন, ফিরে যান রশীদ খান। ৩ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। শেষ উইকেটে দু রান হওয়ার পর উইলিয়ামস হামজাকে আউট করে এনে দেন স্মরণীয় এক জয়।

    তবে আফগানিস্তানের মতো না হলেও ব্যাটিং ধস দেখতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকেও। একটা সময় ৫ উইকেটে তাদের রান ছিল ১২১, তারাও ৮ রান তুলতেই হারিয়েছে শেষ ৫ উইকেট। ৪ উইকেট নিয়ে নাইবই ছিলেন সফলতম বোলার। কিন্তু কে জানত, আফগানিস্তান এভাবে ম্যাচটা হেরে যাবে? ৪ উইকেট নিয়েও তাই নাইব নন, ৩টি করে উইকেট নিয়ে শন উইলিয়ামস ও চাতারা পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।