• " />

     

    ৮৪ বলেই অলআউট জিম্বাবুয়ে

    ৮৪ বলেই অলআউট জিম্বাবুয়ে    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-

    আফগানিস্তান ৫০ ওভারে ২৫৩/৯( রহমত ৫০, নবী ৪৮, পোফু ৩/৪৬)

    জিম্বাবুয়ে ১৩.৫ ওভারে ৫৪/১০ ( ক্রেমার ১৪*, নবী ৩/ ১৪)

    ফলাফল- আফগানিস্তান ১০৬ রানে জয়ী(বৃষ্টি আইনে) 


     

    মাত্র ১৩ ওভার ৫ বল, সময়ের হিসেবে ৬৪ মিনিট। এই অল্প সময়েই পুরো দলের সাজঘরে ফিরে যাওয়াকে  ‘অকল্পনীয়’ ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে! গতকাল ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে কম ওভার খেলে অলআউট হওয়ার লজ্জার মুখোমুখি হতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকে। সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে তাঁদের ১০৬ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান।

     

    দ্বিতীয় ওভারে পিটার মুরের আউট  থেকে শুরু। এরপর প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন গ্রায়েম ক্রেমারের দল। আমির হামজা ও মোহাম্মদ নবীর বোলিং তোপে ক্রিজে টিকতে পারেননি কেউই। ৮ ওভারের মাথায় ৩০ রানে ৬ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ১০ ওভারের আগেই  গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগিয়েছিল। অধিনায়কের অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংসের জন্য ৫০ পেরোলেও সবচেয়ে কম ওভারে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচতে পারেনি। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান।

     

     

    ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৪ ওভারেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল নামিবিয়া। কাল থেকে এই লজ্জার রেকর্ডটি জিম্বাবুয়ের পাশেই লেখা থাকবে। এর আগে ২০০১ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫ ওভার ৪ বলেই সাজঘরে ফিরেছিলেন জিম্বাবুয়ের সবাই, রান উঠেছিল ৩৮। ২০০৪ সালে আবারো এই লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮ ওভারে গুটিয়ে যায় তাঁরা, সেবার রান উঠেছিল ৩৫।

     

    টসে জিতে রহমত শাহের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৫০ রান পার করে আফগানরা। ধৈর্যশীল এই ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছে রহমত। তাঁকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন নুর জারদান ও নবী। পরে বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ১৬১ রান।