• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চাপ না নিয়েই এই রুবেল

    চাপ না নিয়েই এই রুবেল    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ১৮৪, ৪৬.২ ওভার (তুষার ইমরান ৪৭, হ্যামিলটন মাসাকাদজা ৩৮; রুবেল হোসেন ৬/২১, সৌম্য সরকার ২/৩৩); প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৮৬/৫, ৪৬.৫ ওভার (উন্মুক্ত চাঁদ ৬১*, আল-আমিন ৩৫; সঞ্জিত সাহা ৩/২৫)

     

    ফলঃ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী।

     

    ম্যাচ সেরাঃ রুবেল হোসেন (প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব)

     

    নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন। তিন টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এরপর একটি টেস্টের দলেও ছিলেন, তাতে অবশ্য বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন নি। শ্রীলংকা সিরিজে তিন ফরম্যাটেরই স্কোয়াডে থাকলেও খেলার সুযোগ হয় নি। একমাত্র একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটিতে ৬৭ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পান নি। ত্রিদেশীয় সিরিজ আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে নিজেকে প্রমাণের জন্য তাই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগটা বড় এক মঞ্চই রুবেল হোসেনের জন্য। আর তাতে নিজ দলের প্রথম ম্যাচেই তোপ দেখিয়েছেন জাতীয় দলের এই পেসার। একাই কলাবাগানের ৬ উইকেট নিয়ে  প্রাইম ব্যাংকের ৫ উইকেটের অনায়াস জয়ে ম্যাচসেরাও তিনিই।

     

    কলাবাগানের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে বোল্ড করে প্রতিপক্ষের ইনিংসে প্রথম আঘাতটা হানেন দলীয় ১৭ রানে। এক ওভার বাদে আরেক ওপেনার জসিমউদ্দিনের স্ট্যাম্পও উড়িয়ে দেন রুবেল। তৃতীয় উইকেটে মাসাকাদজা (৩৮)-তুষার ইমরানের (৪৭) ৮৭ রানের জুটিটা ভেঙে সৌম্য সরকার দু’জনকেই ফেরানোর পর আবার শুরু হয় রুবেলের তোপ। নিয়মিত বিরতিতে আরও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কলাবাগানের ইনিংস থামিয়ে দেন ১৮৪ রানেই। ৮.২ ওভার বল করে ২টি মেডেনসহ রান দিয়েছেন মাত্র ২১।

     

    এমন রুদ্রমূর্তির রহস্যটা কী? ত্রিদেশীয় সিরিজ আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা করে নিতেই কি মরিয়া চেষ্টা? ম্যাচ শেষে রুবেল অবশ্য বলছেন ওসব এখনই মাথায় আনছেন না। বরং নির্ভার থাকার চেষ্টাটাই কাজে দিয়েছে, “চাপ নেই নি কোনো। সেটারই ফল পেয়েছি। তবে প্রিমিয়ার লিগটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটা ম্যাচ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি।”

     

    রুবলের ভাষ্যে নিষ্প্রাণ উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না, সাফল্যগুলো নিজের চেষ্টাটেই পেয়েছেন। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের প্রমাণটা কিছুটা মিলল তাঁর দলের ব্যাটিংয়ের সময়েও। ১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা প্রাইম ব্যাংক পেরিয়ে যায় ৪৬.৫ ওভারে, ৫ উইকেট হাতে রেখে। দলের পক্ষে ভারতীয় ব্যাটসম্যান উন্মুক্ত চাঁদ অপরাজিত ৬১ ও আল-আমিন ৩৫ রান করেন।