'এমনিতেই পরিচালক আর ক্লাবের ভয়ে আম্পায়াররা ভীত থাকে'
১১ দিন আগে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটের ওই ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড়ই পড়ে গিয়েছিল। ৪ বলের ৯২ রান দেওয়ার ওই ঘটনা অনেক আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমও ফলাও করে ছেপেছে। এবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বললেন, এখন থেকে আম্পায়ারদেরও মূল্যায়ন করা হবে। সেই সঙ্গে স্বীকার করলেন, পরিচালক ও ক্লাবগুলোর কাছে আম্পায়াররা অনেকটাই জিম্মি।
দ্বিতীয় বিভাগের ওই ম্যাচের পর অভিযোগ এসেছিল, আম্পায়াররা এমনকি লালমাটিয়া অধিনায়ককে টসও দেখতে দেননি। সেজন্য বাধ্য হয়েই ওই কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন তারা। আজ বিসিবির নতুন বছরের প্রথম সাধারণ বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ওই ঘটনা তাদের নজরে এসেছে, আজক আমরা আম্পায়ারস ও ম্যাচ রেফারিদের নিয়ে বসেছিলাম। আম্পায়ারিং নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। যেটা হয়েছে সেটা খুবই গুরুতর ব্যাপার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যা হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর।‘
সেজন্য নাজমুল হাসান দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটেও ক্যামেরা রাখার কথা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘গত বছর প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলা নিয়েও অভিযোগ উঠেছিল। আমি নিজে মাঠে তিনটি খেলা দেখতে গিয়েছিলাম, এরপর কিন্তু ব্যাপারটা একটু কমেছিল। এ বছর কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে আমরা তিনটা ক্যামেরা বসিয়েছি, এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগে আমরা ক্যামেরা বসাব, আম্পায়ারদেরও মূল্যায়ন করা হবে। আইসিসিতে আমি যাচ্ছি, সেখান থেকে যা যা প্রশিক্ষণ দরকার হয় সেটা আমরা করব। তবে আমরা কিন্তু সবাইকে মূল্যায়ন করব।’
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, এর মধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে, ‘এর মধ্যে আকসু এর মধ্যেই তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে শেখ সোহেল (আম্পায়ার কমিটির নতুন চেয়ারম্যান), জালাল ইউনূসসহ আছেন আকরাম খান। তিন দিনের মধ্যেই আমাদের রিপোর্ট দেবে।’
নাজমুল হাসান অবশ্য বলেছেন, আম্পায়ারদেরও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে, ‘ক্রিকেটের ভালো চাইলে আম্পয়ায়ারদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, তাদেরকে শক্তিশালী করতে হবে। একটা একটা অভিযোগ আসলেই তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে, এমন হলে কিন্তু হবে না। এমনিতেই পরিচালক আর ক্লাবের ভয়ে আম্পায়াররা ভীত থাকে। তার মধ্যে আম্পায়ারিং করারই মানে নেই।। আম্পায়ারদের শক্তিশালী করতে হবে, ম্যাচ রেফারিকে শক্তিশালী করতে হবে।’
নাজমুল আশা করছেন, ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত চালু হলে আর কোনো অনিয়ম হবে না, ‘যখন থেকে ক্যামেরা বসবে, কেউ তখন ইচ্ছা করে কিছু চাইলেও করতে পারবে না,। একটা তো চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকতে হবে। আর লোয়ার লেভেলে ম্যাচ রেফারি রাখার কথা আমরা ভেবেছি।’